সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজ থেকে দুর্গাপুজোর অনুদান বিতরণ শুরু করেছে। যদিও, 'আরজি কর' বিতর্কের প্রেক্ষিতে, বেশ কিছু ক্লাব এই অনুদান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরজি কর আবহের মধ্যেই আজ থেকেই উৎসবের মুডে রাজ্য সরকার। আজ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল গেল দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা দেওয়া। গতকালই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন অনুদানের টাকা দেওয়ার কথা। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যারা টাকা নেবে না তাদের নাম কেটে দিয়ে পরিবর্তে অন্য ক্লাবের নাম যুক্ত করতে হবে। মমতা নবান্নে জানিয়েছিলেন এবছর ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে রাজ্য সরকার ভাঁড়ার থেকে খরচ করবে ৪৫০ কোটি টাকা।
চলতি বছর আরজি কর-কাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই কয়েকটি ক্লাব দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা নেবে না বলেও ঘোষণা করেছে। যারমধ্যে হাওড়ার প্রায় চারটি ক্লাব রয়েছে। কলকাতারও একটি ক্লাব পুজোর অনুদান নেবে না বলেও জানিয়েছে। এদিনও কলকাতার দুটি ক্লাব দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। টালিগঞ্জের ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতির নেতাজিনগর দুর্গোৎসব কমিটি জানিয়েছে তারা সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। বেলাহা চৌরাস্তা সবেদাবাগান ক্লাবও জানিয়েছে তারা সরকরি অনুদান নেবে না। বেহালার এই ক্লাবটি আরও জানিয়েছে, এবার তারা নমঃ নমঃ করেই পুজো সারবে। পুজোতে কোনও অতিরিক্ত আড়ম্বর নয়। মাইকে কোনও গান বাজান হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজো কমিটির সদস্যরাই আরজি কর কাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে অনেকের রুজিরোজগার হয়। অনেক বিদেশি অতিথিরা আসেন। সারা দেশ থেকে মানুষ আসেন। তাঁদের যেন কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেটাও দেখতে হবে। পর্যটন, তথ্য সংস্কৃতি, পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙাচোরা রাস্তা দ্রুত মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার নবান্নে রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুজো কমিটি গুলিকে অনুদান দিতে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এবার অনেক নতুন পুজো কমিটি এই অনুদানের জন্য আবেদন করেছে। কোনো পুজো কমিটি এই অনুদান প্রত্যাখ্যান করলে তা দিয়ে নতুন পুজো কমিটি গুলিকে অনুদান দিতে তিনি নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানান, পুজোকে কেন্দ্র করে বহু গরিব মানুষের রুজি রুটির সংস্থান হয়। কিছু মানুষ পুজোকে ঘিরে কুৎসা, অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ,কোনও স্তরে স্থানীয় সমস্যা থাকলে, মিটিয়ে ফেলুন। আর যদি মনে হয়, আপনার দ্বারা হচ্ছে না, তা হলে মুখ্যসচিবকে জানান। গতকালই মমতা রাজ্যের সব বাসিন্দাদের আন্দোলন ছেড়ে উৎসবে ফিরতে আবেদন জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।