সংক্ষিপ্ত

বায়রন বিশ্বাসের দল বদল নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রশেম তৃণমূলকে চোরা শিকারির সঙ্গে তুলনা।

 

বায়রন বিশ্বাসের দল বদল আগামী দিনে বিজেপি বিরোধী ঐক্যে প্রভাব ফেলবে। যা আদতে বিজেপিকে শক্তিশালী করবে। সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের দল বদলের ঠিক এক দিন পরেই এই কথা বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বায়রন বিশ্বাসের দলবদলকে তিনি চোরা শিকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন এই কাজ বিরোধাী ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এই কাজের শুধামাত্র উদ্দেশ্য বল বিজেপিকে শক্তিশালী করা।

কংগ্রেস প্রথম থেকেই বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের তীব্র সমালোচনা করেছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসেরও নিন্দা করেছে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল যখন জোট বাঁধার চেষ্টা করছে তখন তৃণমূল কংগ্রেস দলভাঙানোর খেলায় নেমে বিরোধীদের চাপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। রাজ্যের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে হারিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'বায়রন বিশ্বাস ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী। কিন্তু তাঁর নির্বাচিত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রলুব্ধ করেছে। সাগরদিঘির মানুষের রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।' গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যে এর আগে ঘটে যাওয়া এই ধরনের চোরা শিকার বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এই কাজের একমাত্র উদ্দেশ্যই হল বিজেপির হাত শক্ত করা।

যদিও দববদলের পরে বায়রন বিশ্বাস জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর জয়ে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর নিজের ক্যারিশ্মায় তিনি জয়ী হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, কাজ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসই সঠিক প্ল্যাটফর্ম সেই কারণেই তিনি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই দল বদল করেছেন। অন্যদিকে রাজ্য রাজনীতিতে তিনি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর এই দল বদল নিয়ে অধীরও নিশানা করেন তৃণমূলকে। পাশাপাশি বায়রন দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অধীর বলেছেন, ' আমরা যদি আপনার সাথে (বায়রন বিশ্বাস) না থাকতাম, তবে আপনি আজকে (একজন বিধায়ক) হতেন না'। অধীরও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধায়ক শিকারের অভিযোগ করেছে।

সাগরদিঘি মডেলের পর বায়রন বিশ্বাসকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়বে। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বায়রনের নাম পর্যন্ত ভাবতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। সেইসবে জল ঢেকে বায়রন গেলেন তৃণমূলে। যদিও ভোটে জেতার পর বিধানসভায় আসার পর থেকেই বেসুরো গাইছিলেন বায়রন বিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন তিনি তৃণমূলের লোক। এবার সত্যি তিনি তৃণমূলের লোক হয়ে গেলেন।

আরও পড়ুনঃ

অভিষেকের পাশে বসে অধীরকে তোপ বায়রনের, পাল্টা সুর নরম করে কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

বাম-কংগ্রেস নয়, রাজ্যে একা বিজেপি তৃণমূলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেঃ শুভেন্দু

আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা গড়াবে রাজ্য দিয়ে, কাল মোদীর হাতে উদ্বোধন অসমের প্রথম ট্রেনের