সংক্ষিপ্ত

উপনির্বাচনের সময় বায়রনের হয়ে লড়তে গিয়ে জেল খেটেছিলেন তিনি। সোমবার সাগরদিঘির পার্টি অফিসে গিয়ে বায়রনের সমস্ত ছবি পোড়াতে দেখা যায় তাঁকে

বায়রনকে দিয়ে তিন মাসের মাথায় সাগরদিগজি পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল। এদিকে বায়রনের এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বাম-কংগ্রেস। সাগরদিঘির বিধায়কের এই পদক্ষেপের জেরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীততে অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষেও এ এক বড় ধাক্কা। সাগরদিঘি জয়ের তিন মাসের মাথায় ফের বিধানসভায় শূন্যে পৌঁছল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনাকে 'মীরজাফরের' বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দলীয় কর্মীদের মতে বেইমানি করেছেন বায়রন। এবার বায়রন বিশ্বাসের ছবি পোড়ালো কংগ্রেস নেতা।

বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূল যোগের খবর পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেতা সাইদুল শেখ। উল্লেখ্য উপনির্বাচনের সময় বায়রনের হয়ে লড়তে গিয়ে জেল খেটেছিলেন তিনি। সোমবার সাগরদিঘির পার্টি অফিসে গিয়ে বায়রনের সমস্ত ছবি পোড়াতে দেখা যায় তাঁকে। সাইদুলের দাবি,'ক্ষমতা থাকলে পদত্যাগ করে আবার লড়ুন।' তিনি আরও বলেন,'নির্বাচনের সময় ওঁর জন্য একমাস ধরে পরিশ্রম করেছি। তার প্রতিদান এই হবে, তা ভাবতে পারিনি।'

বায়রন বিশ্বাসের দল তৃণমূল যোগে হতাশ বামেরাও। এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সোমবার সাংবাদিকদের বললেন,'যা হল তা ভালো হল না। বুঝিনি এমন হবে।' সোমবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি আসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তিনি এদিন আরও বলেন,খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বুঝিনি এরকম হবে। ওর মধ্যে একটা জড়তা ছিল। সো-মনা ছিল। ওকে তো বিধানসভাতেও যেতে দেখিনি।' বিমান বসুর কথায়,'একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সবকিছু বলা বা বিশ্লেষণ করা সম্ভাব নয়।'

বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে অধীর অবশ্য কিছুটা সুর নরমই রেখেছেন। তিনি বলেছেন,'বায়রন ভাইটি আমার, কংগ্রেসকে বদনাম কোরও না। তোমার নিয়ত, তোমার ইমান-ধর্মকে প্রশ্ন করো!' এখানেই অবশ্য শেষ করেননি অধীর, তিনি আরও বলেন, 'কংগ্রেস তোমাকে প্রার্থী করেছিল। বামদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা রাতদিন এক করে তোমাকি জিতিয়েছিল। মানুষ কংগ্রেসের উপর ভরসা করে। তার প্রোডাক্ট হলে তুমি। এবার কেনাবেচার রাজনীতিকে তুমি নিজে কী করলে সেটা তোমার ব্যাপার। তাই বলছি কংগ্রেসকে বদনাম কোরও না। তুমি ভাল পরিবারের ছেলে, তোমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখেই তোমাকে প্রার্থী করেছিলাম..' । কিছুটা হলেও আক্ষেপের সুর ছিল অধীরের গলায়।