মালদার ইংরেজবাজার শহরের ফুলবাড়ি পাকুরতলা এলাকায় একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি উদ্বোধন করলের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মন্দির উদ্বোধন করে বলেন, ইংরেজ বাজার ব্যতিক্রম।
মালদার ইংরেজবাজার শহরের ফুলবাড়ি পাকুরতলা এলাকায় একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি উদ্বোধন করলের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মন্দির উদ্বোধন করে বলেন, 'ইংরেজ বাজার ব্যতিক্রম। আপনারা জেগে আছেন। এবার অন্যদের জাগান'। ৩৫ লম্বা হনুমান মূর্তি রয়েছে মন্দিরে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার বিজেপির বিরোধী দলনেতা অম্লান, ভাদুড়ি, ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
মন্দির নিয়ে বিতর্ক
মালদহে মন্দির উদ্বোধনে লাগল রাজনৈতিক রং। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে দিয়ে মন্দির উদ্বোধনে আপত্তি এক অংশের। আর যা ঘিরে শুভেন্দু অধিকারীর মালদা সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কর্মী সুজিত দাসের অভিযোগ, 'এই মন্দিরের সেবায়েত তার পরিবার। বহু পুরনো এই মন্দির। বর্তমানে একটি কমিটি তৈরি করে বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি এটা দেখাশোনা করেন। কমিটির প্রেসিডেন্টও রয়েছেন অম্লান ভাদুড়ি। তিনি দেখাশোনা করুন তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু ভোটের ঠিক আগে আমাদের পারিবারিক মন্দিরে শুভেন্দু অধিকারীকে এনে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। আমি এর আগে অম্লান ভাদুড়ির সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। এই মন্দিরের সঙ্গে অনেক মানুষ যুক্ত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কোনদিনও এই মন্দিরে রাজনীতির রং লাগেনি। কিন্তু বিজেপি এটা লাগাতে চাইছে। আমরা চাই না আমাদের পারিবারিক মন্দিরে শুভেন্দু অধিকারী এসে রাজনীতি করুক। তারপরেও যদি বর্তমান কমিটি তাকে নিয়ে সেখানে রাজনীতি করে তাহলে যা ব্যবস্থা নেব আমরা নেব। '
পাল্টা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'এটা বহু পুরনো মন্দির। একসময় এই মন্দিরের নামে অনেক জায়গা জমি ও ছিল। সেবায়ত সেগুলো ধ্বংস করেছে। এখন তারা মন্দিরের দিকে ফিরে তাকায় না। এলাকার মানুষ একটি কমিটি করে এই মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এলাকার মানুষ নিজেদের উদ্যোগে সেখানে একটি হনুমান মূর্তি, স্থাপন করেছে। বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বাংলার হিন্দুদের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের মানুষ হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ চাই তিনি আসুন আর সেই কারণেই তাকে আনা হয়েছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। এটা রাজনীতির কোন বিষয় নেই এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। '
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, যে জায়গা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেদিকে বিরোধী দলনেতা না যাওয়া উচিত। তিনি মন্দিরে পূজা-অর্চনা করতেই পারেন। তাতে কারুর কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু এখানে রাজনীতি আসছে। আর সে কারণেই মানুষ এই রাজনীতি করনের প্রতিবাদ করছে। তৃণমূল এই প্রতিবাদী মানুষের সঙ্গে আছে।


