সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন নাম বিভাস অধিকারী। কলকাতা থেকে বীরভূম প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। সিবিআই আর ইডিকে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নতুন নাম বিভাস অধিকারী। তৃণমূলের হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখ থেকেই হৈমন্তীর মত বেরিয়েছে বিভাস অধিকারীর নাম। নাম প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর কলকাতার কার্তিক বোস স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরার। যদিও স্থানীয়দের কথায় চার মাস আগে থেকেই বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাট সিল করা ছিল। এবার সেই বন্ধ করা ফ্ল্যাটেই তল্লাশি চালায় ইডি, তেমনই খবর সূত্রের। ইডি সূত্র্রে খবর সিল করা ফ্ল্যাটটি বেঙ্গল টিচার ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনেরই অফিস। আর বিভাস অধিকারী বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পরই গত ১৫ অক্টোবর কার্তিক বোস স্ট্রিটেক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তারপর থেকেই ফ্ল্যাটটি সিল করা ছিল। এবার আবারও সেই বন্ধ ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
কে বিভাস চন্দ্র অধিকারী?
ইডি সূত্রের খবর বিভাস অধিকারী একটি বিএড কলেজ চালাতেন। সেখানে মোটা টাকার বিনিময়ে ভর্তি নেওয়া হত, পাল্টা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার। সূত্রের খবর বিভাস অধিকারী মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ট। আবার নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তলের দাবি তাপস মণ্ডলের মত বিভাসও একজন এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। একটি সময় নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তবে বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে তঁর কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্রের খবর ২০২০ সালে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন।
বিভাসের সম্পত্তিঃ
কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আদতে বিভাস বীরভূমের বাসিন্দা। নটহাটিতে বিভাসের বাড়ি। সেখানেই দুটি থেকে তিনটি বিএড কলেজ রয়েছে। যদিও তিনি তা এখনও অস্বীকার করে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি কলেজগুলি তাঁর তা প্রমাণ করে দিতে পারলে তিনি নাকি জেলে যাবেন। অন্যদিকে নলহাটিতে একটি আশ্রমও রয়েছে। তবে বিভাস দাবি করেছেন, তিনি কোনও দূর্নীতি করেননি। যা করেছেন তা জনগণের জন্য করেছেন। তিনি আরও বলেছেন তিনি আর্য ভারত সংগঠনের জন্য এই কাজ করেছেন।
বিভাসের দাবি
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই । ইডি আর সিবিআই যতবার ডাকতে ততবারই তিনি হাজিরা দেবেন। তিনি জানিয়েছেন গোপাল দলপতি আর কুন্তলের নাম কখনই শোনেননি। তাদের চেনেনও না। তিনি আরও বলেছেন তাঁর কাছ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা একাধিক নথি চেয়েছিল। তিনি সবই দিয়েছেন।