সংক্ষিপ্ত

রাজ্য ও রাজভবন সম্পর্ক কেমন হবে তাই বলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন জগদীপ ধনখড়ের মত সম্পর্ক তৈরি হবে না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।

 

প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মত সম্পর্ক বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে হবে না। রাজ্যপালকে পাশে বসিয়ে তেমনই দাবি করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ব্রাত্য বসু। রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে এই মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু। তেমনই রাজ্যপালও জানিয়ে দেন শিক্ষাক্ষেত্র কোনও দ্বন্দ্ব নয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরও বলেছেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে নিয়মে চলছে সেই নিয়মেই চলবে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন সার্থক করতে গেলে শিক্ষায় উন্নয়ন জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ জটিলাতার পরে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। সোমবার এই বিষয়েই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল রাজভবনে দৈর্ঘ বৈঠক করেন। মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন ও ছয় রাজ্যের উপাচার্য।

এদিন ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের পাশে বলেন, রাজ্য সরকার ও রাজভবন একটি দল হিসেবে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, 'আমি দায়িত্ব বিয়ে বলছি অতীতের পুনরাবৃত্তির আর কোনও সুযোগ নেই।' ব্রাত্য বসু নাম না করেই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কথা বলেছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ শিক্ষাবিল থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ক্রমশই দূরত্ব বাড়ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওজগদীপ ধনখড়ের মধ্যে। রাজ্যপালের পদ ছেড়ে তিনি বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছেন।

অন্যদিকে সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, রাজভবন ও রাজ্য সরকারের সম্পর্ক সর্বদা গঠনমূলক হওয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন, 'শাসন একটি অবিরাম প্রক্রিয়া। সেকানে একটি ভারসাম্যের প্রয়োজন। তাতেই সম্পর্কের উন্নতি হবে।' যদিও কোচবিহারে নিশীথ প্রামানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনিয কিন্তু তারপরেই রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের দলীয় পত্রিকা। জাগো বাংলা পত্রিকাতে তাঁকে প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের পদাঙ্ক অনুসারী বলা হয়েছে। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম রাজ্যপালকে তাঁর এক্রিয়ার মনে করিয়ে দিয়েছেন। সোমবার থেকে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে নতুন করে বিবাদ তৈরি হয়েছিন নিশীথ প্রামানিকের গাড়িতে হামলা নিয়ে। এই অবস্থায় ব্রাত্য বসুর পাশে বসে রাজ্য ও রাজভবন সংঘাতে ইতি টানলেন রাজ্যপাল। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুনঃ

শিক্ষা থেকে ব্যবসা- যে ৭টি উপায়ে ভারতীয় মুসলমানরা দেশের সেবা করছে ও করতে পারে

Times Now ETG: ত্রিপুরায় BJP-র ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফলবে বামেরা, মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু - নাগাল্যান্ডে বিজেপি জোটের জয়

কিম জং-এর 'সিনেমা' ফতোয়া, হলিউড মুভি দেখলে শিশুদের পাঁচ বছরের জেল- শাস্তির অভিভাবকদেরও