সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিক তদন্তের উপর ভিত্তি করেই বুধবার আলিপুরদুয়ারে তদন্ত চালায় পুলিশ। তাঁদের সন্দেহ ছিল এখানেই লুকিয়ে রয়েছেরবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত।
অবশেষে খোঁজ মিলল রায়গঞ্জে বধূ খুনের মূল অভিযুক্তের। পুলিশ সূত্রে খবর বুধবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রবাল ওরফে ছোটকে। পুলিশের অনুমান এতদিন যাবৎ আলিপুরদুয়ারেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বধূ খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই প্রবালকে রায়গঞ্জ আদালতে হাজির করা হবে এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানানো হবে বলে সূত্র মারফত খবর। জানা যাচ্ছে প্রাথমিক তদন্তের উপর ভিত্তি করেই বুধবার আলিপুরদুয়ারে তদন্ত চালায় পুলিশ। তাঁদের সন্দেহ ছিল এখানেই লুকিয়ে রয়েছেরবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত। রায়গঞ্জ পুলিশ ও ফালাকাটা পুলিশের যৌথ উদ্যোগেই সুপ্রিয়া দত্তর খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা ও রায়গঞ্জ পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ ও ফালাকাটা পুলিশের একটি যৌথ দল প্রবালকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তদন্তের সার্থে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি তাঁরা।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বধূ সুপ্রিয়া দত্ত খুনের মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল সুপ্রিয়ার 'বিশেষ বন্ধু'। প্রথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান লকডাউনের সময় ফেসবুকে প্রবালের সঙ্গে আলাপ হয় সুপ্রিয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর প্রবালের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ট ছিলেন সুপ্রিয়া। লকডাউন উঠতে থাকলে ধীরে ধীরে প্রবেলের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতে থাকেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান কিছু সময় পড়ে সুপ্রিয়া সম্পর্ক ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইলে তাঁকে খুনের ছক কষে প্রবাল। তারপর সুযোগ বুঝে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুপ্রিয়ার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুন করেন।