সংক্ষিপ্ত

স্বাধীনতার ৭৫ তম দিবসে এই প্রথম কোন বীর সেনানায়কের সীমান্তে ৩০ ফুট লম্বা, ২৪ ফুট চওড়া মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এক বছর ধরে ১০ জন শিল্পী ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই পাকা মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছেন। 

স্বাধীনতার পরে এই প্রথম নেতাজির জন্মদিনে মুক্তমঞ্চ পেল সীমান্তবাসী। ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে সোনাই নদীর পাড়ে ২২, লক্ষ টাকা ব্যয় মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হল নেতাজির জন্ম শতবার্ষিকীতে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাই নদীর ভারত ও বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মদিনে মুক্ত মঞ্চ পেল সীমান্তের মানুষ।

স্বাধীনতার ৭৫ তম দিবসে এই প্রথম কোন বীর সেনানায়কের সীমান্তে ৩০ ফুট লম্বা, ২৪ ফুট চওড়া মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এক বছর ধরে ১০ জন শিল্পী ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই পাকা মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছেন। উল্লেখ্য, কটকে জন্ম ও বাংলায় শিকড় থাকলেও, নেতাজি ছিলেন সারা ভারতের। উত্তর-পূর্ব ভারত, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিতেও বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয় নেতাজির জন্মদিবস। দেশজুড়ে নেতাজির ভাবধারা, আদর্শ প্রচার করার জন্য তাঁর জন্মদিবসে প্রতি বছরই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতাজির আদর্শ প্রচার, দেশপ্রেমের ভাবধারা জাগিয়ে তোলার জন্য 'পরাক্রম দিবস'-কে বেছে নেওয়া হয়।

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, উদ্যোক্তা শ্রীকুমার চক্রবর্তী, সমাজসেবী আবুল কালাম আজাদ, দুলাল ভট্টাচার্যের মতো সমাজের বিশিষ্ট জনেদের সাহায্য যেমন কাজে লেগেছে, তেমনই জেলা পরিষদের বরাদ্দ অনুদান দিয়ে তৈরি হয়েছে এই মূর্তি। গ্রামে বিশিষ্ট জনের সাহায্যে যৌথভাবে এই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মুক্তমঞ্চ তৈরি হল ১২৬ তম জন্মবার্ষিকীতে বলে জানানো হয়েছে। এই মুক্তমঞ্চ পেয়ে গর্বিত স্বরূপনগর বাসী।

দীর্ঘদিনের ছাত্র-ছাত্রী থেকে সমাজের নাগরিকবৃন্দদের দাবি ছিল সীমান্তে সোনাই নদীর পাড়ে একটি খোলা মুক্ত মঞ্চ তৈরি হোক। তাহলে নতুন প্রজন্ম বাঙালি বীর সন্তানদের তাদের মননে চিরস্থায়ী করে রাখবে। এই মুক্তমঞ্চে এক দিকে দেশাত্মবোধক অন্যদিকে সাংস্কৃতিক জগতে সংস্কৃতি প্রেমী মানুষেরা তাদের শিল্প কলা প্রদর্শন করতে পারবে । সমাজ চেতনা জাগবে নতুন প্রজন্মের মনে। দেশপ্রেম শিখবে নতুন প্রজন্ম। বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের কাছে WhatsApp, Facebook এর রমরমা। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হারাতে বসেছে দেশপ্রীতি। এবার এই মুক্তমঞ্চ পেয়ে রীতিমতো আবেগ আপ্লুত নতুন প্রজন্ম থেকে প্রাক্তনী ও বিশিষ্ট জনেরা। এদিন তাঁরা সীমান্তে রানী রাসমনির জামাতা মথুর মোহন বিশ্বাসের বাড়ি ঘুরে দেখেন।