জোটেনি শববাহী গাড়ি, কম্বলে জড়ানো মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে ছেলে
হাসপাতালের বাইরে শববাহী গাড়ির ভাড়া শুনে চোখ কপালে ওঠে রামপ্রসাদ দাওয়াতের। অবশেষে আর কোনও উপায় না থাকায় পৌষ মাসের শীতের মধ্যে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রামপ্রসাদ দাওয়াত।
দালাল চক্রের দাপটে জোটেনি শববাহী গাড়ি। মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়েই বাড়ির পথে রওনা দিল ছেলে। এমনই অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি। মায়ের চিকিৎসায় ফুরিয়েছিল সব টাকা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রামপ্রসাদের মা রক্ষী রানি দাওয়াতের।
হাসপাতালের বাইরে শববাহী গাড়ির ভাড়া শুনে চোখ কপালে ওঠে রামপ্রসাদের | অবশেষে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রামপ্রসাদ দাওয়াত |
এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র রামপ্রসাদদের সাহায্যে এগিয়ে আসে গ্রীন জলপাইগুড়ি নামক একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে। অবশেষে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে শববাহী গাড়িতে মায়ের মৃতদেহ গ্রামে ফেরাতে সমর্থ হন রামপ্রসাদ দাওয়াত। কিন্তু জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কী ভাবে এত সক্রিয় দালাল চক্র? কাঁদের মদত পুষ্ট হয়ে এতটা বাড়বাড়ন্ত এই চক্রের? উঠছে প্রশ্ন।