সংক্ষিপ্ত

ফের একবার গোপনে গাঁজা পাচারের ঘটনা ঘটল। সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা চলছিল বীরভূমে (Birbhum)।

ফের একবার গোপনে গাঁজা পাচারের ঘটনা ঘটল। সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা চলছিল বীরভূমে (Birbhum)।

এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিন মহিলাকে। বুধবার, জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং পুলিশের (Police) যৌথ উদ্যোগে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তবে এই প্রথম নয়, গত ৬ মাসে সিউড়ি থেকে বেশ কয়েকবার নানা ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, বীরভূমের মহম্মদ বাজারে একটি সরকারি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৬৫ কিলো গাঁজা। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার বাজার দর প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। আর এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে মোট তিনজন মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাসে করে লুকিয়ে সেই গাঁজা দুর্গাপুর থেকে মুর্শিদাবাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

সূত্রের খবর, মহম্মদ বাজারের রায়পুর গ্রামের কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঐ বাসটিকে দাঁড় করান পুলিশ এবং ডিসট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ডিইবি ডিএসপি স্বপন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। তারপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজস্থানের আজমের থেকে হেরোইন আনার সময় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে সরকারি বাস থেকে ঠিক একইভাবে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। তারা আবার মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা ছিলেন। তাদের নাম শামিম শেখ এবং হান্নান আলি। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। ঠিক একইভাবে গত মার্চ মাসেও সিউড়ি স্টেশনে তিন মহিলার কাছ থেকে ট্রলি ভর্তি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

বারবার প্রশ্ন উঠছে, এত গাঁজা যাচ্ছে কোথায়? রাজ্যে এত নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধারের জেরে রীতিমতো চিন্তায় প্রশাসন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।