সংক্ষিপ্ত

শনিবার বিকেলে বাঘিনী জিনাতকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল একটি ঘুমপাড়ানি গুলি। বনদফকরের প্রথমে অনুমান ছিল সেটি জিনাতের গায়ে লেগেছে।

 

ঘুমপাড়ানি গুলি খেয়েও ঘুম এল না জিনাতের। দিব্য চষে বেড়াচ্ছে জঙ্গল। আর বাঘিনী জিনাতকে খাঁচা বন্দি করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বনদফতর। শনিবার সকাল থেকেই বাঁকুড়ায় বনদফতরের কর্মীরা জিনাতকে খাঁচা বন্দি করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। ছোঁড়া হয়েছিল ঘুমপাড়ানি গুলিও। রাতের দিকে জঙ্গল ঘিরে ফেলে জিনাতকে খাঁচা বন্দি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সবই ব্যর্থ করে দিয়েছে বাঘিনী জিনাত।

শনিবার বিকেলে বাঘিনী জিনাতকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল একটি ঘুমপাড়ানি গুলি। বনদফকরের প্রথমে অনুমান ছিল সেটি জিনাতের গায়ে লেগেছে। কিন্তু পরে বনকর্মীরা মনে করেছেন সেটি জিনাতের গায়ে লাগেনি। তারপর রাতের বেলা ফের জঙ্গল ঘিরে আগুন জ্বালিয়ে জিনাতকে পাকড়াও করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও সফল হয়নি বনকর্মীরা। রীতিমত জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জিনাত। যদিও রবিবার সকাল থেকে জিনাতকে কোথাও দেখা যায়নি।

বনদফতর সূত্রের খবর জঙ্গলের যেখানে জিনাতের খবর পাওয়া গিয়েছিল সেই এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে বনকর্মীরা। পাশাপাশি নজরদারি চালান হচ্ছে ড্রোন দিয়েও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লাভ কিছুই হয়নি। কংসাবতী নদীর তীরে ঝিমলির জঙ্গলে ঢুকে পড়লে সমস্যা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছে বনদফতর। বনদফতরের কর্মীদের মতে আপাতত বাঘিনী জিনাত রয়েছে বাঁকুড়ার গোসাঁইডিহির জঙ্গলে।

শনিবার সকালেই রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে দেখা পাওয়া গিয়েছিল বাঘিনীর। বাঘিনীর অবস্থান জানার পরই পাকড়াও করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বনদফতর। তারপরই তারা ঘুমপাড়ানি গুলি চালায়। বাঘিনীকে কাবু করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বনকর্মীরা নিশ্চিত রানিবাঁধ ও সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বাঘিনী। তাই সন্ধ্য নেমে যাওয়ার পরই সেখানে জঙ্গলের আশেপাশে আগুন লগিয়ে জঙ্গল ঘিরে বাঘিনীকে পাকড়াও করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।