সংক্ষিপ্ত

শনিবার বাঘিনী জিনাতকে ধরতে রীতিমত তৎপর ছিল বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে কাবু করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গুলি ছোঁড়ার পরই আবার জঙ্গলের ভিতরে লুকিয়ে পড়ে জিনাত।

 

দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী জিনাত। কিছুতেই ধরা পড়ছে না। ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়েও কাবু করা যায়নি জিনাতকে। তারপরই বাঘিনীকে পাকড়াও করতে অন্য়য কৌশল নিয়েছে বনদফতর। গত কয়েক দিন ধরেই পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এলাকায় দেখা গিয়েছিল জিনাতকে। সেখানকার বনদফতরকে কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়েছিল। তারপরই জিনাত ঢুকে পড়েছিল বাঁকুড়ায়। বাঘিনী জিনাতের আতঙ্কে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বাড়ছে আতঙ্ক। ছোট থেকে বড় সকলেই আতঙ্কে রয়েছে। বাঘের আতঙ্কে স্কুল পড়ুয়ারা স্কুল মুখো হচ্ছে না বলেও খবর।

শনিবার বাঘিনী জিনাতকে ধরতে রীতিমত তৎপর ছিল বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে কাবু করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গুলি ছোঁড়ার পরই আবার জঙ্গলের ভিতরে লুকিয়ে পড়ে জিনাত। তারপর আর বাঘিনীকে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এতদিন অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে জিনাতের অবস্থান। তাই এবার জিনাতকে খাঁচাবন্দি করতে সম্পূর্ণ অন্য কৌশল নিয়েছে বনদফতর। এবার জঙ্গল ঘিরে আগুন জ্বালিয়ে জিনাতকে খাঁচা বন্দি করতে তৎপর বনকর্মীরা।

শনিবার সকালেই রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে দেখা পাওয়া গিয়েছিল বাঘিনীর। বাঘিনীর অবস্থান জানার পরই পাকড়াও করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বনদফতর। তারপরই তারা ঘুমপাড়ানি গুলি চালায়। বাঘিনীকে কাবু করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বনকর্মীরা নিশ্চিত রানিবাঁধ ও সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বাঘিনী। তাই সন্ধ্য নেমে যাওয়ার পরই সেখানে জঙ্গলের আশেপাশে আগুন লগিয়ে জঙ্গল ঘিরে বাঘিনীকে পাকড়াও করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাঘিনী ধরতে গত কয়েক দিন ধরেই নানাভাবে চেষ্টা করছে বনদফত। কিন্তু কিছুতেই হালে পানি পাচ্ছিল না বনদফতর। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।