সংক্ষিপ্ত
খুনের কয়েক দিন আগে থেকেই অমিতের বাড়িতে অপরিচিত যুবকদের ভিড় বাড়ছিল। তারা নিয়মিত যাতায়াত করত বলেও দাবি প্রতিবেশীদের
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডে পুলিশের হাতে এল আরও বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য। হত্যাকণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই রহস্য বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা খুনে। পুলিশের অনুমান, দুলাল সরকারকে খুনের ছক কষা হয়েছিল তাঁরই প্রতিবেশীর বাড়িতে বসে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অমিত রজক নামের এক যুবককে। তাঁর বাড়ি দুলালের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের কয়েক দিন আগে থেকেই অমিতের বাড়িতে অপরিচিত যুবকদের ভিড় বাড়ছিল। তারা নিয়মিত যাতায়াত করত বলেও দাবি প্রতিবেশীদের। যাদের অনেকেই এলাকার নয় বলেও দাবি প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীদেরও অনুমান দুলাল খুনের ছক কষা হয়েছিল অমিতের বা়ড়িতে বসেই। যদিও এখনও এই বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পুলিশের হাতে নেই।
মালদার ঝলঝলিয়াতে দুলালের বাড়ি। অন্যদিকে অমিতের বাড়িও এই এলাকায়। দুলালের প্লাইউড ফ্যাক্টরিও সেখানে। তবে অমিতের নিজের বাড়ি নয়। তিনি থাকতেন তাঁর দিদার বাড়িতে। দিদার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই অমিত প্রায়ই দিদার বাড়িতে এসে টানা তিন - চার দিন থাকতেন। বাকি সময় বাড়ি বন্ধ পড়ে থাকত। তবে ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই এই বাড়িতে অপরিচিতদের যাতায়াত বেড়েছিল। অমিতও কয়েক দিন টাকা এই বাড়িতে ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, অমিত ওই বাড়িতে অপরিচিতদের এনে রান্নাবান্না করে খাওয়াত। কিন্তু অমিত ছাড়া কেউ পরিচিত মুখ ছিল না। বাইকে করেই তারা আসা যাওয়া করত।
তবে দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডে অভিজিৎ ঘোষ নামে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার বাড়ির লোকেদের দাবি, খুনের দিন রাতে অভিজিৎ নিজের বাড়িতে ফেরেনি। খুনের দিন দুপুরবেলা বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে গিয়েছিল অমিত। তবে পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় দুলাল সরকার খুনে মূল চক্রী কে বা কারা, কেনইবা তাকে খুন করা হল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।