সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনে বুধবার উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সেখান থেকেই হিংসাত্মক ঘটনার খবর সামনে এসেছে। একজন তৃণমূল নেতাকে নিজেরই দলের লোকজন খুন করেছে বলে অভিযোগ। মৃতের নাম অশোক সাউ। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি আসনের জগদ্দলের। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অশোক সাউ-কে উদ্ধার করা হয়। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নৈহাটিতে উপনির্বাচন চলছে।
অশোক সাউ ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই তাঁর উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, প্রাণ বাঁচানো যায়নি। অশোক সাউ-এর মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিশাল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০২৩ সালেও অশোক সাউ-এর উপর হামলা হয়েছিল
ঘটনার তদন্তের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলা আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। হামলার অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকেও অশোক সাউ-এর উপর হামলা হয়েছিল। রাজোরিয়া বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই অভিযুক্তদের ধরা হবে।"
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও)-এর কাছে নির্বাচনে হিংসার ৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৬টি অভিযোগ বিজেপির তরফে। এই ঘটনায় ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, "আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দেখা যাক পুলিশ কী করে।"
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোজ পান্ডে জানান, ঘটনাটি বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটে। থানা থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে একটি চায়ের দোকান। সেখানেই চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী অশোক সাউ। এমন সময় ২-৩ জন এসে বোমা ছোঁড়ে। বোমার আঘাতে অশোক আহত হন। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর উপর ৪-৫টি গুলি চালানো হয়।