সংক্ষিপ্ত

উলুবেড়িয়ার বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সোমবার রায় ঘোষণা করবে আদালত। মেডিকেল কাউন্সিলের তহবিলের অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায়ক। দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তার।

TMC MLA Nirmal Maji: উলুবেড়িয়ার বিধায়ক নির্মল মাজি বহুবার বিতর্কে পড়েছেন। তার নাম বহুবার শিরোনামে এসেছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। ২০১৫ সালে কুকুরের ডায়ালাইসিস মামলা থেকে শুরু করে আর্থিক দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোমবার তার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দেবেন আদালত। তার বিরুদ্ধে মেডিকেল কাউন্সিলকে প্রভাবিত করার এবং এর অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল।

মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি থাকাকালীন আর্থিক আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কাউন্সিলের তহবিলের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে নির্মল মাজিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্মল মাজির ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

নির্মল মাজির বিরুদ্ধে অতীতেও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের নামে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী পাঠানোর অভিযোগ উঠল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নির্মল মাজি।

এছাড়াও, নির্মল মাজি জুন ২০১৫ সালে এসএসকেএম-এর নেফ্রোলজি বিভাগে কুকুরের ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে জড়িত ছিল। রিপোর্ট করা হয়েছে, তৎকালীন রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজির আত্মীয়ের কুকুরটিকে এসএসকেএম হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে সাজানো হয়েছিল। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পরে নির্মল মাজিকে ২০২২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।