সংক্ষিপ্ত
আরজি হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ছেলেকে জড়িয়ে অপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎক খুন ও ধর্ষণেক ঘটনায় ছেলেকে জড়িয়ে অপ্রচার চালান হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের। তরুণী চিকিৎসক খুনের চার দিন পরে পাঁশকুড়ায় নিজের বাড়িতে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে রীতিমত আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কেঁদেও ফেলেন। তাঁর স্ত্রীও আতঙ্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আরজি হাসপাতাল-কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালীর পুত্র- সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই উঠতে থাকে সৌমেন মহামাত্রের ডাক্তারি পড়ুয়া ছেলের নাম। এই মর্মেই মঙ্গলবার নিজেদের বাড়িতে বসেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন সৌমেন মহাপাত্র ও তাঁর স্ত্রী সুমনা। সৌমেন জানান, যে ব্যক্তির ছবি আর নাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে সেই তাঁর ব্যক্তি তাঁর পুত্র নয়। তাঁর পুত্রও চিকিৎসক বলেও দাবি করেছেন। সৌমেন জানান তাঁর ছেলে পাঁশকুড়াতেই কর্মরত। সৌমেন নিজেও চিকিৎসক। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে চিকিৎসক বোধিসত্ত্ব মহাপাত্র ২০১৭ সালে ডাক্তারি পড়া শেষ করেছে। পাঁশকুড়ার পিৎপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ হিসেবে কর্মরত। তারপরেও ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। এই কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।' তবে এখানেই শেষ নয়, সৌমেন এই বিষয়ে তাঁর দলের দিকেই মূলত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অনুমান, তাঁর ছেলের নামে মিথ্যাচার করার ঘটনায় তাঁরই দলের একাংশের যোগসাজের রয়েছে।
সৌমেন বলেন, শুক্রবার চিকিৎসক খুনের পর থেকেই তাঁর ছেলের নাম জড়িয়ে অপ্রচার চালান হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যাতে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ বাড়ছে। তাঁর বাড়িতে হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তাঁর পুত্রবধূ গর্ভবর্তী, সেই সময়ই এমন অপ্রচার চলছে। তিনি আরও বলেন, যেদিনের ঘটনা সেই দিন তাঁর ছেলে কলকাতায় ছিল। বৌমাকে নিয়ে ইউএসজি করাতে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, 'দলের অনেকেই আমাকে দীর্ঘদিন ধরে টেনে নামাতে চাইছে। কিন্তু এভাবে মানুষকে ছোট করা যায় না।'
তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত তৃণমূল নেতার স্ত্রী সুমনা। তিনি বলেন, 'আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে। নিজের বেতন থেকে সব কিছুই দলের জন্য দিয়েছি। সেই আমাকেই কালিমালিপ্ত করতে আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে আমার ছেলের ভুয়ো ছবি ও নাম ব্যবহার করে পোস্ট করা হচ্ছে। ' বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'আমি জানতাম কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু এখানে এমন কেউ আছেন , যারা আমার পিছনে ছুরি মারতে চাইছেন। আমার পরিবারকে রাস্তায় টেনে নামাতে চেষ্টা করছেন। ' তবে দলের বিরুদ্ধে কথা বললেও সৌমেন জানিয়েছেন দলনেত্রীর ওপর তাঁর এখনও পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।