সংক্ষিপ্ত
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে আদানি ইস্যু, ব্যাঙ্ক ও এলআইসি কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানতে চাইবে তৃণমূল।
ঝুঁকির মুখে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও এলআইসি। এই দাবি নিয়েই বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব উত্তাল করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই শেষ নয়। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস আরও যেসব বিষয়গুলি উত্থাপিত করতে চায় তাই বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়েও সরব হবে ঘাসফুল শিবির। তিনি আরও বলেছেন বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে দলের ঠিক কী ভূমিকা হবে তাও ঠিক করতে দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেম। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন, এলআইসি সংকটে আর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি- এই দুটি জিনিসই সাধারণ মানুষকে প্রভাবিতক করছে। সেই কারণে এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনার ওপর সবথেকে বেশি জোর দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরো বলেছেন, বিজেপি শাসিত নয় এমন রাজ্যগুলির সঙ্গেও তারা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। তাদের সমর্থন করার আহ্বানও জানিয়েছেন। মনরেগা প্রকল্পগুলি নিয়ে ও আলোচনা করতে তৃণমূল ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছেন তিনি। অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে তারা কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা রিজার্ভেশন বিল প্রবর্তনের দাবিতে তুলেছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৩৩ রিজার্ভেশনের দাবি করা হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু লোকসভায় এই বিল পাস হয়নি।
এলআইসি ও এসবিআই আদানি গোষ্ঠীর কারণে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বিরোধী দলগুলি বাজেট অধিবেশনের প্রথব পর্বে এই দাবি করেছিল। পাশাপাশি আদানি ইস্যুতে এখনও কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস জেপিসি-র দাবিতে বিরোধীদের পাশে থাকার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গা গবেষণে রিপোর্টে জাতিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারপর থেকে বেশ কয়েক দিন ধরেই শেয়ার বাজারে আদানিদের শেয়ারের দাবি ছিল পড়তি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এসবিআই ও এলআইসি-র বেশ কিছু পয়সা আদানি গোষ্ঠীতে লাগিয়েছিল। সেই অর্থের কী হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি দুই সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে নীরব রয়েছে। যা নিয়ে বিরোধীরা নিশানা করছে মোদী সরকারকে। যদিও আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট পুরোপুরি মিথ্যা।