সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামীকে সন্দেশখালি পাঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

অশান্ত সন্দেশখালিতে এবার জনসভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। ইতিমধ্যেই বিজেপি ও সিপিএম সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুটি দলের প্রতিনিধিদেরই রাস্তায় আটকে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামীকে সন্দেশখালি পাঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।পার্থ ভৌমিক রাজ্যের সেচমন্ত্রী আর নায়ারণ গোস্বামী জেলা পরিষদের সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, বর্তমানে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তৃণমূল সূত্রের আগামী শনিবারের মধ্যে ১৪৪ ধারা উঠে যেতে পারে। তারপরই রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সন্দেশখালিতে একটি জনসভাও করতে পারে। শাহজাহানের গড়ে সেই জনসভায় থাকতে পারেন পার্থ ভৌমিক , নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে রথীন ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসুর মত দলের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা ও মন্ত্রীও থাকতে পারেন। তবে মঙ্গলবার পার্থ ও নায়ারণ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার জন্যই যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুকুমার মাহাতকে সন্দেশখালি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুকুমারের রিপোর্টের পরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছে। অন্যদিকে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস-এরও। কেরল সফরে রয়েছেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরেই তিনি সন্দেশখালি যাবেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর। তবে রাজ্যপালের সন্দেশখালি সফর নিয়ে আরামবাগের জনসভা থেকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, যে যেখানে খুশি যেতে পারে। তিনিও রাজ্য মহিলা কমিশনকে সন্দেশখালি পাঠিয়েছিলেন। তারাও রিপোর্ট দিয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি আরও বলেছেন, দোষীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। শাহজাহানের অনুগামীদের তাণ্ডবের কারণে প্রতিবাদে সরব হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা উত্তম-সহ আরও অনেকেরই গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে। তবে পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, তাদের দলীয় রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই উত্তমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একার মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এজাতীয় কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আর সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।