সংক্ষিপ্ত

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,“উত্তরাখণ্ডে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? মধ্যপ্রদেশে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? ব্যাপম ভুলে গেছেন? যত রাগ বাংলার উপর। মানুষের টাকা কেড়ে নিয়েও লজ্জা নেই।

বাংলায় আর বনধ হবে না, আমরা বনধের সমর্থন করি না। যদি কেউ বনধ করে তাহলে প্রশাসন রেয়াত করবে না’। শিলিগুড়ির সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্টতই হুমকি দিয়েছেন বঙ্গ ভঙ্গের দাবিতে যারা পাহাড়ে বনধের পথে যাচ্ছেন তাদের প্রতি। উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে নিয়োগ বন্ধ করতে মরিয়া বিরোধীরা। এদিন বিরোধীদের কড়া নিন্দা করেছেন মমতা।

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “উত্তরাখণ্ডে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? মধ্যপ্রদেশে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? ব্যাপম ভুলে গেছেন? যত রাগ বাংলার উপর। মানুষের টাকা কেড়ে নিয়েও লজ্জা নেই। আজ বলছে, না না ওকে চাকরি দেওয়া যাবে না।” মমতার অভিযোগ, একে তো নিজেরা চাকরি দেবে না। কেউ চাকরি পেলেই সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে চলে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক চাকরি আটকাতে হবে। নাহলে ওরা তৃণমূলের সমর্থক হয়ে যাবে। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতার বক্তব্য, “সব কোর্টকে খারাপ বলব না। কিন্তু আমাদের সবার মধ্যেই কেউ এ, কেউ বি, কেউ সি, কেউ ডি থাকে। রাজনৈতিক খসড়া করে বলে দেওয়া হচ্ছে,চাকরিটা বন্ধ করে দাও। কেন ভাই? তোমাদের গায়ের এত জ্বালা কেন? আমি যদি ছেলেমেয়েদের চাকরি দিই,তোমাদের কীসের বিদ্বেষ?” এরপরই মমতার চ্যালেঞ্জ, তোমাদের নির্দেশ আমি মানছি না। মানব না। আইন মেনে আইনের পথেই চলবে। যেখানে যেখানে চাকরির প্রয়োজন আছে,আমরা দেব এবং দিচ্ছি। রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই মঙ্গলবার উদ্বোধন হল কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবার। আর এবার এই পরিষেবার উদ্বোধন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, কোচবিহার বিমানবন্দর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করে দিলাম। আড়াই-তিনশো কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিলাম। আর এখন বিজেপি বিধায়করা সেই বিমানে উঠে ঘুরে বেড়ালেন। এই ধরণের চালাকি মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল সরকার তা মানবেও না।

এরপরই মমতা প্রশ্ন তোলেন, নয় জন করে যাতায়াত করা যাবে এই বিমান। কী লাভ আছে? বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বালুরঘাট,পুরুলিয়া থেকে মালদহে বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। রাজ্যে ২৭টি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার, করব আমরা আর ঝান্ডা নাড়বে ওরা। মানুষ বিপদে পড়লে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।