পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার এলাকার এক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপিকা মাইতি, তার অভিযোগ প্রতিবেশী তৃণমূল নেতা চন্দন মাইতির সঙ্গে পারিবারিক পুরনো বিবাদের আক্রোশে আক্রান্ত হন
তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি। মহিলাকে বিবস্ত্রকরে মারধর করার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চন্দন মাইতি ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। চন্দন মাইতি এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসেবেই পরিচিত। অন্যদিকে মহিলা গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার এলাকার এক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপিকা মাইতি, তার অভিযোগ প্রতিবেশী তৃণমূল নেতা চন্দন মাইতির সঙ্গে পারিবারিক পুরনো বিবাদের আক্রোশে আক্রান্ত হন। অভিযোগকারী দীপিকা মাইতি বলেন ,'হঠাৎ আমার বাড়িতে রাতে এসে চড়াও হয়ে আমাকে অতর্কিতভাবে মারতে থাকে এবং আমার পরনের সমস্ত কাপড় ছিড়ে দেয় । আমাকে বিবস্ত করে মারতে থাকে'। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীপিকা মাইতি শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও অঞ্চল সভাপতি সন্দীপ জানা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি দুই পরিবারের পারিবারিক সমস্যা। জমি জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ বলেও দাবি করেন তিনি। অভিযুক্ত চন্দন মাইতি বলেছেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গ্রাম থেকে সালিসি করে জমি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই বিধান মানছে না অন্যপক্ষ। তিনি আরও বলেছেন, মহিলা নিজেই জামাকাপড় ছিঁড়ে থানায় গিয়েছেন। তিনি মারধর করেননি। অন্যদিকে বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতে গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিবাজ ও গুন্ডাদের দল। তৃণমূলের জমানায় মহিলারা সুরক্ষিত নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনিয
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে। আক্রান্ত মহিলা অভিযোগ করেছেন, গোটা ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রীয় রয়েছে।


