সংক্ষিপ্ত

দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে দিদির দূত হিসাবে রবিবার মুরারই ১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চলে যান বিধায়ক মুশারফ হোসেন। ডুমুরগ্রাম থেকে কর্মসূচী শুরু করেন তিনি। বালিয়ারা গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পরেন বিধায়ক।

‘চোর হঠাও। পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটিও চোর চলবে না’। দিদির দূত হিসাবে অঞ্চলে একদিন কর্মসূচিতে গ্রামে গিয়ে এমনই মন্তব্য হজম করতে হল তৃণমূল বিধায়ককে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের কোন জবাব দিতে পারেননি বীরভূমের মুরারই কেন্দ্রের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। বরং ‘চোর’ শব্দ হজম করে হাসি মুখে এলাকা ছাড়েন তিনি।

দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে দিদির দূত হিসাবে রবিবার মুরারই ১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চলে যান বিধায়ক মুশারফ হোসেন। ডুমুরগ্রাম থেকে কর্মসূচী শুরু করেন তিনি। বালিয়ারা গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পরেন বিধায়ক। এক গ্রামবাসী বলেন, “সরকার টাকা দেবে কেন? সরকার টাকা দেবে আর আপনি খাবেন পাঁচ হাজার? মাটি কাটার টাকা খাবেন হিসাব দেবেন না? টাকার আয় ব্যয়ের হিসাব দিলে তবেই সঠিক কাজ হবে”। গ্রামবাসীর অভিযোগের কোন উত্তর দিতে পারেননি বিধায়ক মোশারফ হোসেন।

রফিকুল মমিন বলেন, “এখানে একশো দিনের কাজ থেকে আবাসন, পানীয় জলের টিউবওয়েল কোন কাজ হচ্ছে না। সব টাকা খেয়ে ফেলছে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সদস্যরা। আমরা বিধায়ককে বললাম। এসব দুর্নীতিগ্রস্থদের টিকিট দিলে আমরা তৃণমূল ছেড়ে দেব”।

মোশারফ হোসেন বলেন, “বালিয়ারা গ্রামের মানুষ রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যার কথা বলেছেন। আবাস যোজনা, একশো দিনের কাচজে দুর্নীতির কথা বলেছেন। আমি ওদের বলেছি লিখিত আকারে দেন। আমি সেই কাগজ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব”।

দিদির দূত নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে আগেও পড়েছেন বিধায়করা। জানুয়ারি মাসে, সাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিদির দূত তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে তিনি বীরভূমের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। রামপুরহাটের বিধায়ককে মহম্মদ বাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ধরে বলে তাদের কিছু দাবি রয়েছে। সেগুলির সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ছাড়া হবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ধূমকেতু। তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরেই এলাকায় দেখা যায় না। তাই তারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন না বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয়দের বক্তব্য হল দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকার রাস্তাঘাট। সেগুলি মেরামতিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিন হাতের কাছে বিধায়ককে পেয়েই স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই গ্রাম পরিদর্শনে এসেছিলেন। স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শোনাই তাঁর প্রথম আর প্রধান কাজ। তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাঁর কাজ।