সংক্ষিপ্ত
বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে। নিষেজ্ঞা জারির আসল রেকর্ড চেয়ে কেন্দ্রকে নোটিশ আদালতের।
বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্র India: The Modi Question (ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন)। এই তথ্যচিত্রের সম্প্রসারণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্টে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিবিসির তথ্যচিত্র India: The Modi Question (ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন) নিয়ে দুটি পিটিশনের শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পাললিক ডোমেন থেকে বিবিয়ার তৈরি তথ্যচিত্রটি সরিয়ে নেওয়ার আদেশের আসল রেকর্ড চেয়েছে। দায়ের হওয়া মামলায় তথ্যচিত্রটি ব্লক করা,সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লিঙ্কগুলি সরিয়ে ফেরার জন্য যে জরুরি ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কখনই নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ নিয়ে প্রচার করেনি। আইনজীবীর এমএল শর্মার আবেদনে বিবিসির তথ্যচিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বাসঘাতকতা, স্বেচ্ছাচারী, অংসাবিধানিক বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র পৃথক একটি আবেদন করেন। তারও শুনানি হয়।
২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি বিধি, ২০২১ এর অধানে জরুরি বিধান ব্যবহার করে বিতর্কিত বিবিসির ডকুমেন্টার লিঙ্ক শেয়ার করা একাধিক টুইটার, ইউটিউব পোস্ট ব্লক করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে।
সম্প্রতি এই তথ্যচিত্র নিয়ে এই দেশেও তীব্র জটিলতা তৈরি হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বিবিসির এই তথ্যচিত্রের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। টুইটার ও ইউটিউেবর লিঙ্কগুলিকে ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্যচিত্রকে বিভ্রান্তিকর, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়বস্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি এই তথ্যচিত্রে ঔপনিবেশিক মতাদর্শ প্রতিফলিত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও বিবিসির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যথেষ্ট গবেষণা করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এডিটোরিয়াল বিষয়বস্তুর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেই আসল তথ্য তুলে ধরার হয়েছে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেও কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মত বিরোধী দলগুলি সেন্সরশিপের জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করলেও দেশের প্রায় ৩০২ জন বিদগ্ধ মানুষ বিবিসির তথ্যচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছে চিঠি লিখেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে এই তথ্যচিত্রের মাধ্যেমে দেশের নেতার ভাবমূর্তি খুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অনিল দেও সিং, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব এল সি গয়াল, প্রাক্তন বিদেশ সচিব শশাঙ্ক। এছাড়াও প্রাক্তন RAW প্রধান সঞ্জীব ত্রিপাঠি এবং প্রাক্তন NIA ডিরেক্টর যোগেশ চন্দর মোদি বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন৷
আরও পড়ুনঃ
বাজেটের পরই মধ্যবিত্তের চাপ আরও বাড়ল, লিটার প্রতি তিন টাকা করে দাম বাড়াল আমুল
Gautam Adani: গৌতম আদানির সাম্রাজ্যের আকাশে কালো মেঘ, হু হু করে কমছে সম্পদের পরিমাণ
বাজল ভোটের ঘন্টা, পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশের জন্য প্রার্থী তালিকায় বড় চমক বিজেপির