সংক্ষিপ্ত

স্বীকৃতি ধরে রাখার কারণ দেখিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা ওই রাস্তাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফেরত চাইলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে উপাসনাগৃহ থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত রাস্তা ফেরত চাইল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হাতিয়ার ইউনেস্কোর তকমা। সম্প্রতিই বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রে'র স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এবার এই স্বীকৃতি ধরে রাখার কারণ দেখিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা ওই রাস্তাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফেরত চাইলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালে বিশ্বভারতীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত আবেদন করেছিলেন যে শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন সংযোগকারী প্রায় তিন কিলোমিটার ওই রাস্তাটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। সেই মত সেই রাস্তার দায়িত্ব পায় বিশ্বভারতী। ওই রাস্তার পাশে সার দিয়ে অমর্ত্য সেন, ক্ষিতিমোহন সেন, নন্দলাল বসু, গৌরী ভঞ্জ, শান্তিদেব ঘোষ-সহ বহু বিশিষ্ট আশ্রমিকের বাসভবন। কিন্তু পরবর্তীকালে নতুন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে যখন তখন ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন আশ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ সাপ্তাহিক মন্দির বা বিশেষ উপাসনার দিনগুলিতেও শিক্ষাভবন মোড় থেকেই সমস্ত ধরনের যান চলাচল আটকে দেওয়া হত। শুধু তাই নয়, ওই রাস্তায় সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ ও ছবি তোলার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আশ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে বিশ্বভারতীর থেকে ফেরত নেওয়া হয়।

এই ঘটনার ৩ বছর পর ইউনেস্কোর তকমার জোড়ে রাস্তা ফেরত চে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তিনি লিখেছেন,'১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। এই তকমা ধরে রাখতে হবে আমাদের সবাইকে। এই রাস্তার দুই ধারে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, স্থাপত্য, ভাস্কর্য আছে। ভারী যান চলাচলের ফলে কম্পনে এগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।'