সংক্ষিপ্ত
Rajiv Kumar on Murshidabad: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জেলাজুড়ে বাড়ছে প্রতিবাদের ঝড়। পরিস্থি্তি সামাল দিতে এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন পদে কর্মরত ২৩ জন দক্ষ পুলিশকর্তাকে বিশেষ ডিউটিতে পাঠানো হল মুর্শিদাবাদে। রবিবার তাঁদের শামসেরগঞ্জ থানায়
Rajiv Kumar on Murshidabad: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জেলাজুড়ে বাড়ছে প্রতিবাদের ঝড়। পরিস্থি্তি সামাল দিতে এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন পদে কর্মরত ২৩ জন দক্ষ পুলিশকর্তাকে বিশেষ ডিউটিতে পাঠানো হল মুর্শিদাবাদে। রবিবার তাঁদের শামসেরগঞ্জ থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। এই মর্মে শনিবার রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজিপি আইনশৃঙ্খলা একটি নির্দেশিকা ভবানী ভবন থেকে জারি করেছিলেন। বাহিনী মোতায়েনের পর রবিবার জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত। সঙ্গে এলাকায় রয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারও। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন তিনি।
এদিন ডিজির সঙ্গেই থাকা জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, আগের থেকে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে এলাকায় টহলদারি বজায় থাকবে বলেও জানান তিনি। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত ১১ এপ্রিল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। পরিস্থিতি খারাপ হয় এই জেলার সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরে। সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। পুলিশকে মার। পালটা লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, পুলিশের গুলি, বিএসএফ নামানো সব মিলিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয় এই জেলায়।
আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার। সেদিনের বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ''কেউ কোনওরকম গুজবে কান না দিয়ে শান্তি বজায় রাখুন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের সচেতন ভাবে পরিস্থিতির মোকবিলা করতে হবে।'' শনিবারের বৈঠকের পরই মুর্শিদাবাদ চলে যান ডিজি। সেই থেকেই মুর্শিদাবাদে রয়েছেন তিনি। পরিস্থিতির ওপর সবসময় তিনি নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে একেবারে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি ও সামশেরগঞ্জ ব্লক সহ একাধিক এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এই জেলায়। শনিবার হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। আইন-শৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্শিদাবাদে সিএপিএফ কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যের অন্যত্র যদি অশান্তি হয় সেখানেও বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বাহিনীকে রাজ্যকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। কোথায় কত বাহিনী ও পুলিশ থাকবে তা দুই নোডাল অফিসার এডিজি আইন-শৃঙ্খলা ও এডিজি সিআইএসএফ যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ১৭ তারিখ পৃথকভাবে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্র।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।