সংক্ষিপ্ত

আলিপুর হওয়া অফিসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল।

 

গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই রাজ্যেও তাপমাত্রার পারদ নামছে। কনকন ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। আগামিকাল ও পরশু দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের হবে না।

আলিপুর হওয়া অফিসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও ছিল নিম্নগামী। সোমবার পৌষ সংক্রান্তির দিন সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়। তবে এদিন সকাল থেকেই পরিষ্কার আকাশ ছিল। তবে উত্তুরে হাওয়ার দাপটও ছিল অব্যাহত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাওয়ার দাপটও বাড়তে থাকে। প্রায় একই অবস্থা উত্তরবঙ্গে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য এলাকা থাকবে ঘন কুয়াশায় ঢাকা।

মৌমস ভবন জানিয়েছে উত্তরভারতের অধিকাংশ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু পকেটে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকায় শৈত্য প্রবাহের অবস্থা থাকবে। এদিনও দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে শৈত্য প্রবাহ হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার ট্রেন লেটে চলছে। ব্যাহত হয়েছে । বিমান চলাচলেও দেরি হচ্ছে।

তাপামাত্রা যদি ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায় তাহলেই শৈত্য প্রবাহ হয়। তবে ৮-১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়। মূলত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শৈত্য প্রবাহ হয়।