সংক্ষিপ্ত

অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে রোগীর কতটা চিকিৎসা হলে কত টাকা দাবি করা যাবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বঙ্গের স্বাস্থ্য ভবন। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের দেখা গেছে হেনস্থার শিকার হতে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে নতুন গাইডলাইন নিয়ে এল স্বাস্থ্য ভবন। নিয়ম জারি হল যে, রোগীর অস্ত্রোপচার সফল না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্যাকেজ থেকে প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকা দাবি করতে পারবে না। তার বদলে চিকিৎসার খরচের ৫০ শতাংশ চাইতে পারবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে রোগীর কতটা চিকিৎসা হলে কত টাকা দাবি করা যাবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বঙ্গের স্বাস্থ্য ভবন।

অভিযোগ উঠেছে, বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চিকিৎসার নামে স্বাস্থ্য বিমার টাকা আত্মসাৎ করছে। এমনকী স্বাস্থ্যসাথী চালু হওয়ার পর, চিকিৎসার পরে রোগী সুস্থ না হলেও টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। এর জেরে রোগী এবং প্রশাসন, উভয়রেই ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের। প্রথমটি হল, রোগীর চিকিৎসা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। দ্বিতীয়টি হল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকাটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে বাড়তি পুরো অর্থটা নিয়ে নিচ্ছে হাসপাতাল। এই সমস্যা রুখতে এবার সব দিক নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বহু ক্ষেত্রে এমন ঘটছে যে, হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর মৃত্যু হয়ে গেল। আবার কখনও অস্ত্রোপচার করা হলেও তা সফল হচ্ছে না। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলি রোগীর চিকিৎসার প্যাকেজে থাকা সম্পূর্ণ টাকাটা চেয়ে নিচ্ছে এবং সেটা পেয়েও যাচ্ছে। ফলত, রোগীর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সেই খরচ কেটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। তাই নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রোগীর চিকিৎসা সম্পূর্ণ না হলে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সংশ্লিষ্ট প্যাকেজের টাকা পুরো পাওয়া যাবে না। বরং সরকারের নির্ধারিত টাকাই পাওয়া যাবে। কোনও রোগীর অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেও অস্ত্রোপচার যদি করা না হয়, তাহলে প্যাকেজের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ দাবি করা যাবে। রেফারের করলে যতদিন হাসপাতালে ছিল ততদিনের টাকা মিলবে। কোনও পরীক্ষা করার পরে রোগীকে অন্যত্র রেফার করা হলে বা রোগীর মৃত্যু হলে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দাবি করা যাবে। রেফার কেসের ক্ষেত্রে বাকি ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ টাকা দাবি করতে পারবে দ্বিতীয় হাসপাতাল।


আরও পড়ুন-
ফুটবলের ‘রাজা’ নাকি ‘রাজপুত্র’, দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া ‘পেলে-মারাদোনা’ বিশ্বে আজও পাল্লা ভারী কার?
অমিত সাহার নাটক বন্ধ করতে তৃণমূল নেতার ‘হামলা’, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য
নক্ষত্রের নামকরণ করা হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে, এটিই সূর্যের নিকটতম তারা