সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রের রিপোর্টে রয়েছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন।
দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ভর্তির হাার কেমন তা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হিসেবে ওই তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র। আর সেই তালিকাতেই ছাত্রশূন্য পড়ুয়ার স্কুল সংখ্যা সবথেকে বেশি এই রজ্যে।
কেন্দ্রের রিপোর্টে রয়েছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। কেন্দ্রের রিপোর্টে গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে একজন শিক্ষক থাকা স্কুল রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি। রিপোর্ট বলা হয়েছে গোটা গেশের নিরিখে প্রায় ১৩ হাজার স্কুল রয়েছে, যেখানে গত শিক্ষাবর্ষে কোনও শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছিলেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন। আর প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুল পডুয়া ভর্তি হলেও সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১। পড়ুয়া শূন্য স্কুলের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ঠিক আগেই রয়েছে রাজস্থান। তৃতীয় স্থানে তেলাঙ্গনা।
কোন রাজ্যে কেমন পরিস্থিতি সে বিষয়ে প্রতি বছরই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস থেকে এই রিপোর্টটি দেওয়া হয়। রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রক। রাজ্যের কোন স্কুলে কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। প্রায় ২০০ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করে তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজ্যের কোন স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের কী পরিস্থিতি, তা সব স্কুলের থেকে জানতে চেয়েছে শিক্ষা দফতর। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোন স্কুলে কত জন পড়ুয়া রয়েছে? কোথায় কত জন শিক্ষক রয়েছেন, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাই বা কত? কোন স্কুলে কত শূন্যপদ রয়েছে? সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে রাজ্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।