সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার রাত ১২টারও পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক বোমা পড়ে বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকে যে অশান্তি শুরু হয়েছিল ভোট গণনার মধ্যেও তা অব্যাহত থাকল ভাঙড়ে। ফল প্রকাশের রাতেও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। তব এবার আর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, আইএসএফ কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশের সঙ্গে। অভিযোগ আইএসএফ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। তারপরই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও আইএসএফ কর্নী জখম হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টারও পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাল্টা পুলিশও বরার বুলেট চালায়। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে আইএসএফ কর্মীরা। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়। তবে সংঘর্ষের কারণে আইএসএফএর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
মনোনয়ন পর্ব থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। সেই সময়ই দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভোটের দিনেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল ভাঙড়ে। ভাঙড়ের ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৮টি। একটি মাত্র দখল করতে পেরেছে আইএসএফ ও জমি রক্ষা কমিটি। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের দুটি জেলা পরিষদ আসনের ফলপ্রকাশের আগেই সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভোট গণনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। স্থানীয় আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে তাদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের সময় তাঁকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। বিডিও জানান ৩৬০ ভোটে হেরে গেছেন তিনি। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ প্রশাসনের তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। তাতেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। এই ঘটনার পর থেকেই গণনাকেন্দ্রে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আইএসএফরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ে।
ভাঙড়-১ এর ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে ভোট হয়েছে। একই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ২৭টি ব্লক আর দুটি জেলা পরিষদের আসন জয় করেছে। অন্যদিকে ভাঙড় ২ নম্বরে ২১৮ পঞ্চায়েত, ৩০টি ব্লক আর তিনটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। তারমধ্যে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী তৃণমূল। ভোট হয়েছে ১৩০টি আসনে। অন্যদিকে একটি ব্লকে ৮২জন আইএসএফ প্রার্থী ও ১৯ সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের ভোটপত্রের ত্রুটির কারণে। আর এই কারণে ভাঙড়ে যে কটি আসনে নির্বাচন হয়েছিল তাতে অশান্তি না হওয়াই ঠিক ছিল। কারণ বিরোধীদের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেললেন রাজীব সিনহা, বললেন গণনা 'মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ'
Panchayat Election Results 2023: কেমন ফল করল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরের ২ 'নতুন তৃণমূল' প্রার্থী