সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু বলেন, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এই জেলা পরিষদগুলি বিজেপি দখল করত। সঠিকভাবে ভোট হয়নি বলেও দাবি তাঁর।
'চির দিন কারও সমান যায় না। সিপিএমও ভাবত তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবে। সিদ্ধান্ত শঙ্কর রায়ও ভাবতেন তিনি আর ইন্দিরা ছাড়া আর কেউ থাকবে না।' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ঠিক এইভাবেই তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন, সঠিন নির্বাচন হলে তণমূল ২০ হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন দখল করতে পারত না। ভোটে যে সন্ত্রাস হয়েছে তা ভারতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি গণনা শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন ২০১৮ সালে এভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময়ও তৃণমূল কংগ্রেস এইভাবেই উল্লাস করেছিল। কিন্তু তারপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে যায়। শুভেন্দু বলেন স্থানীয় স্তরে কোনও কোনও গ্রাম, কোনও কোনও পকেটে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই সন্ত্রাসই ছিল তৃণমূলের অস্ত্র। শুভেন্দু আরও বলেন সঠিকভাবে নির্বাচন হলে ২০ হাজার তৃণমূল পেত না। তবে বাকি ৫৩ হাজার যে বিজেপি পেত সেই দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ৩০-৩২ হাজার আসন পেত বিজেপি। বাম কংগ্রেস ও আইএসএফও প্রচুর আসন পেত।
শুভেন্দু বলেন, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এই জেলা পরিষদগুলি বিজেপি দখল করত। আর বাম কংগ্রেস আর আইএসএফ-এর দখলে থাকত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দখল করত। ত্রিশঙ্কু জেলা পরিষদ হত উত্তর দিনাজপুর ও মালদা। কিন্তু পরবর্তীকালে রাজ্য শাসকদল তৃণমূল দল বদলের রাজনীতি করে আরও বেশি আসন দখল করতে পারত। শুভেন্দু বলেন 'ভাইপোর বুদ্ধিতেই মমতা এই নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। পুলিশ কার্যত উলঙ্গ হয়ে গেছে'।
শুভেন্দু বলেন পোস্ট পোল ভায়লেন্স শুরু হয়েছে। বারাসতে ২০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্টের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে বিজেপি লড়াই করবে বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন এনআরএসএ ৯ জন ভর্তি রয়েছে। কাউন্টিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারকেশ্বর থেকে কাউন্টিং এজেন্ট ঘরে ফিরতে পারছে না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন এদিন একাধিকবার রাজ্যের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। হিংসা নিয়ে রিপোর্টও তৈরি করতে বলেছেন।