সংক্ষিপ্ত

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ভোটে জিততে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার এই ঘটনা নজিরবিহীন।

সিপিআইএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট পেপারই খেয়ে খেয়ে ফেললেন তৃণমূল প্রার্থী। গণনা চলাকালীন এহেন আজব কাণ্ড দেখে অবাক সকলেই। ভোটে জিততে শেষমেষ কী না ব্যালট চিবিয়ে খেলেন প্রার্থী? ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া ২ নং ব্লকের অশোকনগর সেক্রেটারি বয়েজ হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্রে। ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা চলছিল ওই কেন্দ্রে। জানা যাচ্ছে সিপিআইএম জিতেছে জেনেই এই আজব কাণ্ড করে বসেন এলাকার তৃণমূল প্রার্থী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ভোটে জিততে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার এই ঘটনা নজিরবিহীন।

সূত্রের খবর হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শেষে দেখা যায় ৪ ভোটে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। এটি দেখা মাত্রই টেবিলে পড়ে থাকা কিছু ব্যালট ছিড়ে খেয়ে ফেলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। এই প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছেন,'গণনা যখন সবেমাত্র শেষ হয়েছে তখন ওঁরা রিকাউন্টে না গিয়ে, তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির সঙ্গে কিছু কথা বলে। এরপরই সে মেইন দরজা দিয়ে ঢুকে একটা বান্ডিল তুলে ছিড়ে কিছুটা খেয়ে কিছুটা ছড়িয়ে ফেলে চলে গেলেন।' তিনি আরও বলেন,'আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছি। জেতার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে নাকি?' সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছেন নির্বাচনের আধিকারিকরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ১৫ মিনিট গণনাও বন্ধ রেখেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর এই আচরণে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরাও। সিপিএম প্রার্থীর দাবি এই আচরণে বিরক্ত খোদ তৃণমূল প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টও।

ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। ভোটে জিততে শেষমেষ ব্যালয় খেয়ে ফেলতে হল! যে ব্যালটে মানুষের রায় রয়েছে সর্বসমক্ষে কীভাবে সেই ব্যালট খেয়ে ফেললেন তৃণমূল প্রার্থী? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বিজয়রথের মাঝেও আরাবুলের গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। ভাঙরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রাম পোলেরহাট ২। একসময় গোটা ভাঙরের রাশ থাকত আরাবুলের হাতেই। তবে এখন আর সেই প্রতিপত্তি নেই। এবার আর আরাবুলের হাতে ছিল না ভাঙরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত ভোট সামলেছেন ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং তাঁকে সাহায্য করেছেন বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।