সংক্ষিপ্ত
পুলিশ-প্রশাসন কি বেজায় চাপে? সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্টে অনেকটা সেইরকমই ইঙ্গিত মিলল।
পুলিশ-প্রশাসন কি বেজায় চাপে? সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্টে অনেকটা সেইরকমই ইঙ্গিত মিলল।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রুত পেতে গেলে ঠিক কী কী করতে হবে, তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্ট করে জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আর কীভাবে সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তারও কয়েকটি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেই ভিডিওতে।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে গোটা দেশে, সেই পরিস্থিতিতেই রাজ্য পুলিশের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। তা হলে কি চাপে পড়েই এই ভিডিও পোস্ট করতে বাধ্য হল পুলিশ?
সাধারণত, আস্বাভাবিক মৃত্যু হলে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করাই পুলিশের প্রাথমিক এবং প্রধান কর্তব্য। কারণ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেইসঙ্গে, কখন সেই ঘটনাটি ঘটেছে সহ নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে।
এই ধরনের তদন্তে পুলিশের অন্যতম হাতিয়ারই হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মৃতের পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনেরও অধিকার থাকে সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার। অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে যে, এই রিপোর্ট পেতে অনেকরকম সমস্যায় পড়তে হয়। আবার হয়রানির অভিযোগও ওঠে কোনও কোনও সময়। এমনকি, দালালচক্রের খপ্পরেও পড়ে যান মৃতের আত্মীয়েরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যে একেবারেই জটিল বিষয় নয়, সেটাই জানাল রাজ্য পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওর মধ্যেই রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর। ঐ ভিডিওতে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে দেখা গেছে। তিনি জানাচ্ছেন, “অনলাইনে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার সুবিধা এখনও চালু হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। তবে যতদিন না সেই ব্যবস্থা চালু হয়, ততদিন থানা থেকেই মিলবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।