সংক্ষিপ্ত
শহর-শহরতলি, মফঃস্বল যে কোনও এক জায়গায় গিয়ে আমরা ফ্ল্যাট কিনে থাকে অনেকে। কিন্তু, আজকাল ফ্ল্যাট হেলে যাওয়ার খবর সামনে আসছে। এবার থেকে ফ্ল্যাট কেনার আগে সতর্ক হন।
বিশেষজ্ঞের মতে, শহরের ক্রমবর্ধমান হেলে পড়া ফ্ল্যাট বাড়ি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনার পিছনে আছে তাড়াহুড়ো, নিয়ম না মানা। বহু ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়, আবাসন তৈরির আগেই ঠিক হয়ে যায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ। মূল কথা, তাড়াহুড়ো। তাড়াহুড়োতে যখনই কোনও কাজ হয় তাতে ফাঁক থেকে যায়। যেনতেন প্রকারে কাজ শেষ করতে গিয়ে অনেক নিয়ম ভাঙা হয়। আইন ভাঙা হয়। আসল নিয়ম আবাসনের নকশা সবকিছুই তৈরি হয় পরিবেশের, সমাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। এসব ঠিক করে মানা না হলে ঘটে বিপত্তি।
স্ট্রাকচার স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট, জল-আলো সব বিষয়েই স্থানীয় প্রশাসনের ছাড়পত্র ওই আবাসনের পেয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। এগুলো চাইলেই দেখা যায়। সব ঠিক থাকলে সমস্যা থাকবে না।
কোনও আবাসন পাঁচ সাত বছর পর আচমকা হেলে পড়ে না। দু-তিন বছরের মধ্যেই হয়। মূলত ছোট বাড়ি হেলে পড়ে, বড় বাড়ি না। পাঁচ তলার বেশি উচ্চতার বাড়ি হলে তা পাইলিং করতে হয়। তা না করলে বাড়ি হেলে পড়ে।
জানা গিয়েছে, বাড়ি আসলে কাজ শেষ হওয়ার এক দু বছরের মধ্যেই হেলে যায়। এখন যেসব বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসছে, তা তৈরির সময় থেকেই হেলে ছিল। কারণ অধিকাংশ ভার যা পড়ার তখনই পড়েছে। অনেক সময় আবাসন হেলে থাকার কারণে কম দামে বিক্রি হয়। কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় যদি দেখে নেওয়া যায় তাহলেই এই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যায়। সব বাড়ির স্যাংশান প্ল্যান-এ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের সই বাধ্যতামূলক হলে এই হেলে পড়ার প্রবণতা থাকে না।