জয়নগরের মোয়া এত টেস্টি হয় কেন? খোঁজ নিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা, দেখুন আমাদের প্রতিবেদন

জয়নগরের বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রেতা জানান জয়নগরের মোয়া মানেই কনকচূর ধান আর নলেন গুড়। তিনি বলেন নলেন গুড় তো অনেক খেয়েছেন। তবে জিরেন কাঠের নলেন গুড় সব ধরনের গুড়কে টেক্কা দেবে।

/ Updated: Dec 18 2024, 10:02 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

রাজ্যে ঢুকে পড়ছে শীতকাল। আর শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের প্রবেশ। জিভে জল আনা দারুণ স্বাদের একের পর এক লোভনীয় খাবার। শীত বলতেই বাঙালির রান্নাঘরে যা ঢুকে পড়ে তা হল জয়নগরের মোয়া।

জয়নগরের বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রেতা জানান জয়নগরের মোয়া মানেই কনকচূর ধান আর নলেন গুড়। তিনি বলেন নলেন গুড় তো অনেক খেয়েছেন। তবে জিরেন কাঠের নলেন গুড় সব ধরনের গুড়কে টেক্কা দেবে। এই জিরেন কাঠের নলেন গুড়ই মোয়ার আসল স্বাদ নিয়ে আসে। বাঙালির কাছে শীতের আগমন মানেই নলেন গুড় বা খেজুর গুড়।

নলেন গুড় বা তার থেকে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি শীতকালের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। এর স্বাদ, গন্ধ এমন যে জিভে জল চলে আসে।  খেজুর গুড়কেই নলেন গুড় বলে অর্থাৎ খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি হয় এই গুড় কিন্তু নলেন গুড় তৈরি করা হয় কিভাবে তা অনেকেই জানি না। আর এর মধ্যে জিরেন কাঠের গুড় কীভাবে তৈরি হয়, মোয়া বিক্রেতা জানালেন সেই পদ্ধতি।


নলেন গুড় তৈরি করার বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। এর প্রথম ধাপ হল 'গাছ কাটা'। হেমন্তের হিমেল হাওয়া যখন হাল্কা শীতের প্রভাব ফেলতে শুরু করে, সেই সময় থেকেই এই কাজ শুরু করতে হয় শিউলিদের। গাছ কেটে রস বেরনোর পথ তৈরি করার পর বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। শীতের শুরু থেকে গাছে রস আসতে শুরু করে। তখন শুরু হয় নলেন গুড় তৈরির দ্বিতীয় ধাপ।

সূর্য ডোবার আগে মাটির কলসি গাছে এমন ভাবে ঝুলিয়ে দিতে হয় যাতে কলসির মুখটা কাঠির নিচে থাকে। সারারাত ধরে কলসিতে জমা হতে থাকে রস। পরদিন ভোরবেলা, সূর্যের আলো ফোটার আগে গাছ থেকে কলসি নামিয়ে নিতে হয়। এই ধরনের পদ্ধতিতে সাধারণ নলেন গুড় হয়।

তবে জিরিন কাঠের গুড় খেতে গেলে এই পদ্ধতিতে সাথে ওই গাছকে তিন থেকে চার দিন রেস্ট দেয়ার পর আবারও যে রসটি পারা হয় যেটা দিয়ে গুড় তৈরি হয় তাকেই বলা হয় জিরেন কাঠের গুড়, আর এই গুড়ের স্বাদের আলাদা মাত্রা, সেটা যে কোনও মিষ্টি প্রেমী বাঙালিই বুঝতে পারবেন।