সংক্ষিপ্ত

আসন সংরক্ষণ এবং সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ প্রকাশিত হতে পারে প্রাথমিক খসড়া। 

বাধা পেরিয়ে শেষমেশ পশ্চিমবঙ্গে বেজে গেল পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। যদিও গ্রীষ্মকাল এড়িয়ে ভোট করার পক্ষে রয়েছে রাজ্যের প্রশাসকমণ্ডলী। সেজন্য, অনেক আগে থেকেই শীতকালে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চোলছিল বঙ্গ প্রশাসনের অন্দরে। সূত্রের খবর, ২০২৩ শুরু হওয়ার একেবারে শীর্ষে, অর্থাৎ আসন্ন জানুয়ারি মাসে নির্বাচন সঙঘটিত করার একটা পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। তবে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না করতে পারলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে, অর্থাৎ মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের শুরু নাগাদ ভোট হওয়ার করানোর একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাধারণত রাজ্যে প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়। তার আগে মাইক বাজিয়ে ভোটের প্রচার করায় নিষেধাজ্ঞা থাকাই স্বাভাবিক। সেই কারণে, প্রচারে বিঘ্ন ঘটার জন্য জানুয়ারি মাসে ভোট করানো সম্ভব না হলে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ ভোট করানোর একটা সম্ভাবনা রয়ে যায়। সূচি অনুযায়ী, আগামি বছর মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই মর্মে, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। পরিকল্পনা ঠিকঠাক চললে ১৯ অক্টোবরেই তালিকা প্রকাশ করে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন সংরক্ষণ এবং সীমানা পুনর্বিন্যাসের (ডিলিমিটেশন) প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবার তার খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিধ মতামত গ্রহণ করার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। তবে, আসন্ন নভেম্বরের মধ্যে সেই খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে বাকি প্রস্তুতি অতি শীঘ্রই সেরে ফেলতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন, বাংলায় যে কোনও সময়েই ভোট ঘোষণা হতে পারে। তাঁর পরামর্শ ছিল, দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করা হোক। ভোট ঘোষণা হলে তা সম্ভব নয়।

ভোটের সম্ভাবনা মাথায় রেখে বঙ্গে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর বিশেষ নজর দিয়েছে শাসক ও বিরোধী গোষ্ঠী। বিজেপির পক্ষ থেকে জেপি নাড্ডার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়ে গেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তালিকা। শাসকের পক্ষ থেকেও ঘোষিত হয়ে গেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ও বিবিধ সুযোগ-সুবিধা। শাসকের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ নিয়ে কোমর বেঁধেছে বিরোধী পক্ষও। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দুই গোষ্ঠীই।  

আরও পড়ুন-
একটানা জ্বরে কাবু ফুটবল প্রশিক্ষক সুব্রত ভট্টাচার্য, টানা ৩ দিনের জ্বরের পর ধরা পড়ল ডেঙ্গি!
ভারতের সীমানায় ‘বিচিত্র’ পরিস্থিতি, মোকাবিলা করতেই ‘অগ্নিপথ’ স্কিম চালু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার?
কালীপুজোর পরেই দেশ জুড়ে আবার লকডাউন? চিন থেকে ফের ভারতে ঢুকে পড়ল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট