সংক্ষিপ্ত
‘সবার চাকরি হবে’ বলে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে বৈঠক শেষে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজকের আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শহীদুল্লাহ।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আজকের বৈঠক কি সদর্থক? বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থী শহীদুল্লাহর মন্তব্যে শোনা গেল আশ্বস্ত হওয়ার কণ্ঠস্বর।
সোমবার এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে এসে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ডাকা বৈঠকে। পূর্বে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। সেই বৈঠকে দেওয়া হয়েছিল মৌখিক আশ্বাস। তারপর আবার আজকের বৈঠকে যোগ দিলেন তাঁরা।
আজ ৫১২ দিনে পড়ল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। বিকাশ ভবনে আজকের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। সেই বৈঠক শেষে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের পরিচিত প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ জানালেন, আজকের বৈঠকও ইতিবাচক হয়েছে। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে শহীদুল্লাহ বলেন, মেধা তালিকায় থাকা সকলের যাতে চাকরি হয়, সেই দাবিই আমরা জানিয়েছি। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তাহলে কি চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া আশ্বাসের পর এবার মহানগরের বুক থেকে এসএসসির জন্য আন্দোলন উঠে যাবে? শহীদুল্লাহর স্পষ্ট জবাব, এখন আন্দোলন তোলার কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি বলেন, “যেমন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে তেমনই চলবে। সবাই নিয়োগপত্র পেলে আন্দোলন তুলে নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ২০১৬ সালের এসএসসির বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেধাতালিকায় নাম ওঠা প্রত্যেক প্রার্থী যাতে চাকরি পান, আন্দোলনকারীদের সেই আশ্বাসই দিয়েছিলেন অভিষেক। সেইদিনই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আজকের বৈঠকের দিন স্থির হয়। ঘোষিত হয় যে, ৮ অগাস্ট শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনায় বসবেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী শহীদুল্লা সহ আন্দোলনকারীদের ৮ জন প্রতিনিধি বৈঠক করেন। ‘সবার চাকরি হবে’ বলে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে বৈঠক শেষে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজকের আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শহীদুল্লাহ।
আরও পড়ুন-
'পার্থ চ্যাটার্জী দোষী হলে, ব্রাত্য বসু নয় কেন?' মন্তব্য মহঃ সেলিম-এর
কীভাবে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় চাপ দিতেন বেআইনি নিয়োগে সই করতে, পর্দা ফাঁস করেছিলেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে জট, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আবার চরমে