সংক্ষিপ্ত
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আরাও সংঘাতের পথে রাজ্য ও রাজ্যপাল। কারণ সম্প্রতি আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তা মানতে নারাজ রাজ্য।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আরাও সংঘাতের পথে রাজ্য ও রাজ্যপাল। কারণ সম্প্রতি আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তা মানতে নারাজ রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। পাল্টা বিবৃতি জারি করেছেন রাজ্যপালও। সবমিলিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আচার্যের ক্ষমতাবলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে। তারপরই তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছিল শাসকদল। পাশাপাশি রাজ্যপালের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
শনিবার পাল্টা বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় পাল্টা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, 'বলা হয়েছে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়।' রাজ্যপাল আরও বলেছেন, তিনি পদাধিকারবলে এখনও পর্যন্ত সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। 'আচার্য হিসেবে জগদীপ ধনখড় রবীন্দভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন।' তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই এই নিয়োগ তিনি করেছেন।
রাজ্যপালের এই বার্তার পরই পাল্টা আসরে নামেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিনি বলেছেবন বিধানসভায় বিল পাশের কারণে ২০২২ সালের ৩০ জুন থেকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ২৫ জন উপাচার্যের নিয়োগ নিয়েও তা কার্যকর করা হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুই তরফের বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতির কারণে ঝুলে রইল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ। রাজ্য সরকার বিল পাশ করার পর তা কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। তাই তা আইনে পরিণত হয়নি। আর শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতির পর ধরে নেওয়া যেতে পারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপালের মত মানবে না রাজ্যসরকার।
রাজ্য সরকার যে বিল বিধানসভায় পাশ করেছে তাতে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেই জায়গায় বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। অর্থাৎ বিলে রাজ্যপাল সি করার পর তিনি আচার্য হিসেবে আর রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে থাকতে পারবেন না। সেই স্থানে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সুর নরম মমতার, বিজেপিকে দাঁড় করালেন কাঠগড়ায়
রাজযোগ চলছে দ্রৌপদী মুর্মুর, জেনে নিন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর কুণ্ডলী
রেডিও মির্চি ছাড়লেন মীর, শ্রোতাদের প্রশ্ন পরবর্তী গন্তব্য কোথায়