সংক্ষিপ্ত
একতার শেখ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও ২১ বছর আগে তিনি জীবনতলার হরিনদা এলাকার বাসিন্দা মরজান শেখকে বিয়ে করেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি একতার শেখ। ওই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে কলকাতায় কাজ করে এবং ছোট ছেলে মামার বাড়িতে থাকে।
স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলতে তাই স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার তাম্বুলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনদা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম একতার শেখ (৪৫)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে মরজান শেখ ও এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে।
একতার শেখ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও ২১ বছর আগে তিনি জীবনতলার হরিনদা এলাকার বাসিন্দা মরজান শেখকে বিয়ে করেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি একতার শেখ। ওই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে কলকাতায় কাজ করে এবং ছোট ছেলে মামার বাড়িতে থাকে। এরই মধ্যে স্বামীর বন্ধু এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয় মরজান শেখের। এনামুলের বাড়িও মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায়। এনামুল মেটিয়াবুরুজে কাজ করত। একতার ও এনামুলের ছোট থেকেই বন্ধু। সেই সুবাদে এনামুল প্রায়ই জীবনতলার ওই বাড়িতে যাতায়াত করত।
আরও পড়ুন- 'দুয়ারে জলাশয়', মালদহে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেও এনামুল একতারের বাড়িতে গিয়েছিল। অভিযোগ, স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এনামুল ও মরজান শেখের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। আর সেই সময় স্ত্রীকে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন একতার। এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান একতার শেখ। তারপরই মরজান ও তাঁর প্রেমিক এনামুল পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলতে একতার শেখকে গলাটিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একতার শেখের দেহ উদ্দার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার-আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক মিহির', বিস্ফোরক শুভেন্দু
এর আগে বারাসতের মনুয়া-কাণ্ডের ছায়া পড়েছিল মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। সেখানে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার থানার মিলকি ফাঁড়ির অন্তর্গত কাউয়াখোন মোহনপুর এলাকায়। খুনের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারও করেছে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন কাউয়াখোন মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুল খান (৪০)। সন্ধান না পেয়ে ১৬ জানুয়ারি মিলকি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার চার দিনের মধ্যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা হলেন সাদিকুলের স্ত্রী শরিফা বিবি এবং শরিফার প্রেমিক নুর আলম এবং নুর আলমের বন্ধু লালচাঁদ শেখ।
আরও পড়ুন- বিজেপির কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, একাধিক কর্মীকে গাড়িতে তুলল পুলিশ