সংক্ষিপ্ত
- এমএ তরুণীর প্রেমিক এইট পাশ
- বিয়েতে আপত্তি ছিল পরিবারের
- আত্মহত্যা করলেন ওই তরুণী
- চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির উত্তরপাড়ায়
তিনি নিজে উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু যাঁকে ভালোবেসেছিলেন, তিনি স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি! বিয়েতে আপত্তি করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হোয়াটস অ্যাপে প্রেমিককে ছবি পাঠিয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন এক তরুণী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির উত্তরপাড়ায়।
আরও পড়ুন: ব্যবধান সাতদিনের, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফের নিখোঁজ রোগী
আরও পড়ুন: বাগনানে 'হলুদ বৃষ্টি'-র রহস্যভেদ, গবেষকের দাবিতে শোরগোল
মৃতার নাম রিমা পাল। বাড়ি, উত্তরপাড়ার কোতরং ২ নম্বর কলোনি এলাকায়। বরাবরই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। এমএ পাস করার পর চাকরি পেয়েছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। একই পাড়ায় থাকেন রিমার প্রেমিক পঞ্চানন দাস। পেশায় তিনি মার্বেল মিস্ত্রি। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ছোট থেকে একে অপরে চিনতেন তাঁরা। সেই পরিচয়ই বদলে গিয়েছিল প্রণয়ে। পঞ্চাননের সঙ্গে বছর দশেক প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিমার। তাঁদের সম্পর্কে কথা জানতেন পাড়ার অনেকেই। সম্প্রতি আবার ওই যুগলের বিয়ে কথাও চলছিল। যদিও বিয়েতে আপত্তি ছিল রিমার পরিবারের লোকেরা। এই নিয়ে অশান্তির মাঝে যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা কে জানত!
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেমিককে হোয়াটস অ্যাপে একটি ভিডিও পাঠান রিমা। ভিডিটিতে দেখা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই তরুণী! এর কিছুক্ষণ পরই আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাটি জানাজানিতে হতে উত্তেজনা ছড়িয়ে এলাকায়। প্রেমিক পঞ্চানন দাসের বাড়িতে চড়াও হন মৃতার পরিবারের লোকেরা। তাঁকে মারধর করা হয়, বাড়িতে চলে ভাঙচুরও। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন বাড়িতে একা ছিলেন, তখন রিমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পঞ্চানন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। রিমার দিদির অভিযোগ, বোনের কাছে থেকে নাকি প্রায়শই টাকা চাইতেন তাঁর প্রেমিক। না দিলেই মারধর করা হত। আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে পঞ্চানন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।