সংক্ষিপ্ত
- ঘরের মধ্য়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ ঘিরে রহস্য়
- খুনের পর দড়িতে ঝোলানোর অভিযোগ করছে পরিবার
- গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য়
- শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ, পলাতক স্বামী
দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুকুরিয়া থানার পরানপুর গ্রামে। খবর পেয়ে পুকুরিয়া থানার পুলিশ ঘর থেকে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃত গৃহবধূর পরিজনদের অভিযোগ, সংসারে অশান্তির কারণে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মহিলার স্বামী।
স্থানীয় থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানাগেছে, গত বছর সামাজিক রীতি মেনেই পরানপুরের বাসিন্দা নূর আলমের বিয়ে হয়েছিল নাসরিন বিবির সঙ্গে। পেশায় দিন মজুরের কাজ করতেন নূল আলম। মেয়ের বিয়ের সময় সাধ্য় মতো মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে সামগ্রীও দিয়েছিলেন নাসরিন বিবির বাবা আনিসুর রহমান। বিয়ের সময় নগদ টাকা ও ঘর সাজিয়ে জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁদের।
মৃত নাসরিন বিবির বাবা জানিয়েছেন, ''বিয়ের পর প্রথম দিকে ভালই সংসার করছিল মেয়ে, কিন্তু কয়েক দিন আগে বাপের বাড়িতে এসেছিল আমার মেয়ে। পরে জামাই এসে মেয়েকে নিয়ে যায়। বুধবার রাতে মেয়ের বাড়ি থেকে ফোন আসে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে নাসরিন। গিয়ে দেখি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আমার মেয়ে।মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমি শ্বশুর বাড়ির পরিবারের কড়া শাস্তির দাবি করছি ''
মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে তাঁর দেহ দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃত গৃহবধূর স্বামী। মেয়েকে খুনের অভিযোগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।