সংক্ষিপ্ত

বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে গাছের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় আপুন। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীর ধলতারা এলাকায়। বিষয়টি গতকাল রাতে পরিবারের নজরে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

ভিন রাজ্যে বন্ধুদের (Friends) সঙ্গে কাজ করতে যেতে চাইছিল ছেলে। একদিকে তেমন বয়স হয়নি তাই বন্ধুদের (Work in Other State) সঙ্গে বাইরে কাজ করতে যেতে দিতে আপত্তি ছিল বাবার। ভিন রাজ্যে বন্ধুদের সঙ্গে যেতে না দেওয়ায় আত্মঘাতী যুবক (Committed Suicide)। সোমবার বিকেলে বন্ধুরা ভিন রাজ্যের উদ্দেশ্য গ্রাম থেকে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই যুবক। মৃতের নাম আপুন সরেন (১৮)। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার (South Dinajpur District) বালুরঘাটের। 

বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে গাছের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় আপুন। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat Block) ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীর ধলতারা এলাকায়। বিষয়টি গতকাল রাতে পরিবারের নজরে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে (Police)। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের (Post-Mortem) জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Balurghat District Hospital) পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ (Balurghat Police Station)।

আরও পড়ুন- সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখতে ইচ্ছুক নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী, দেখা করতে চান 'মা' মমতার সঙ্গে

জানা গিয়েছে, আপুন ক্লাস এইট (Class 8) পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিল। তারপর থেকে সে রাজমিস্ত্রীর শ্রমিক হিসেবেই কাজ করছিল। আপুনের দাদার বিয়ে হয় গত দু'দিন আগে। এদিকে আপুনের সব বন্ধুরা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার জন্য তাকেও বলে। সেকথা বাড়িতেও জানায় আপুন। কিন্তু, রাজি হয়নি তার বাবা। তার পরিবার তাকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার জন্য বাধা দেয়। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে যেতে বাধা দেওয়ায় অভিমান করে বাগানে চলে যান আপুন। আর সেখানে গিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিষয়টি নজরে আসতেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

আরও পড়ুন- পানিহাটির কাউন্সিলর খুনে জড়িত পুলিশের জালে আরও ৩, মূল অভিযুক্তকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবারহের অভিযোগ

এবিষয়ে মৃতের বাবা মিস্ত্রী সরেন বলেন, "আমার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে চাইছিল। ছেলের বয়স হয়নি তাই যেতে দেননি। সেই অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। বন্ধুরা গ্রাম ছেড়ে যেতেই আত্মঘাতী হয়।" অন্যদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বালুরঘাট থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের