সংক্ষিপ্ত
ইউটিউবের তরফ থেকে তার কাছে এসে পৌঁছায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে' সিলভার প্লে বাটন'। আহ্লাদে আটখানা সৌভিকের এখন একটাই কথা,"মনের মধ্যে সংকল্প যদি দৃঢ় থাকে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবেই"।
গ্রাম বাংলার (West Bengal) মাটি থেকে উঠে আসা সাধারণ কৃষক পরিবারের (Farmer Family) ছেলে হয়েও নতুন কিছু করার স্বপ্ন ছিল মনে। সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছে সৌভিক। সৌভিক দাস, তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের আলু গ্রামের প্রত্যন্ত শ্রীপতিপুর এলাকায়। তবে তাতে কি কিছু যায় আসে। প্রতিকূলতা কখনই স্বপ্নের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না যদি মনের জোর থাকে। মনের জোর আর ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করেই এগিয়ে যাচ্ছে সৌভিক। তার পথ যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিয়েছে এই যুবক। জিতে নিয়েছে ইউটিউবের (Youtube) বহু আকাঙ্খিত প্লে বাটন (Plat Button)।
পুরোনো ঐতিহ্যকে নতুন মোড়কে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেও যে সাফল্য লাভ করা যায়, সে কথাই প্রমাণ করে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের আলু গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সৌভিক দাস। মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে সৌভিক। তাই আর পাঁচটা বাবা- মায়ের মত তার বাবা সুপ্রভাত দাস ও মা কৃষ্ণ দাসের ইচ্ছে ছিল বরাবরই ছেলে যেন কোনরকমে একটা চাকরি জোগাড় করে পরিবারের হাল ধরে। অথচ নাছোড়বান্দা সৌভিকের বরাবরই ইচ্ছে ভিন্ন কিছু করার।
আর সেই ইচ্ছে থেকেই নেট দুনিয়ার সাহায্যে ইউটিউব এর মাধ্যমে চ্যানেল খুলে মানুষকে শ্রুতি নাটকের প্রতি আকৃষ্ট করায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমের দিকে নানান বাধা-বিপত্তি আসলেও কয়েক বছর গড়িয়ে যেতে নিজের পরিচিত বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে অন্যান্যদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে শুরু করে সৌভিক। তারপরেই কান্দি রাজ কলেজ থেকে সদ্য পাস করা সৌভিকের স্বপ্ন রাতারাতি যেন বাস্তবায়িত হয়ে যায়। তার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে একের পর এক শ্রুতি নাটক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। দেখতে দেখতে দেড় লাখের অধিক সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
Mysterious lake -ভারতের এই হ্রদের ওপর দিয়ে উড়েছিল অনেক বিমান,আর মেলেনি খোঁজ
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
তারপরেই ইউটিউবের তরফ থেকে তার কাছে এসে পৌঁছায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে' সিলভার প্লে বাটন'। আহ্লাদে আটখানা সৌভিকের এখন একটাই কথা,"মনের মধ্যে সংকল্প যদি দৃঢ় থাকে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবেই"। এদিকে ছেলের এই সাফল্যে খুশি মা কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন,"প্রথমের দিকে ছেলের মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকা মোটেও ভালো না লাগত না। এখন দিব্যি ছেলের নাম ডাক হয়েছে। খুব খুশি পরিবারের সকলে। পাশাপাশি আর্থিক দিক দিয়েও উপকৃত হচ্ছে ছেলে তাতে আমরা সকলেই খুশি"।