সংক্ষিপ্ত
দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লাখনি করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আজ সেই এলাকা পরিদর্শনে যান রাজু সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলে রাজুর পাশাপাশি রয়েছেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব কুমার সাহা সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা পাঁচামিতে (Deucha Pachami) কয়লাখনি (Coal mine) প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে আজ বিজেপি (BJP) রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Raju Banerjee) নেতৃত্বে ওই এলাকা পরিদর্শনে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল (BJP Delegation Team)। যদিও সেখানে পৌঁছানোর ঠিক আগেই রাস্তার উপর তাঁদের গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ (Agitation)। পাশাপাশি রাজুকে কালো পতাকাও (Black Flag) দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, খনি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে তাঁরা রাজি আছেন। কিন্তু, বিজেপি ওই এলাকায় জোর করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, স্থানীয়দের নাম করে তৃণমূলই (TMC) বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যদিও এনিয়ে ঘাসফুল শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লাখনি করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আজ সেই এলাকা পরিদর্শনে যান রাজু সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলে রাজুর পাশাপাশি রয়েছেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব কুমার সাহা সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু, এলাকায় প্রবেশ করার আগেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গোব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। বিজেপির প্রতিনিধিদলের এই পর্যবেক্ষণকে ঘিরে ইতিমধ্যেই মহম্মদ বাজার ব্লক এলাকায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
আরও পড়ুন- টাকা না পেয়ে সদ্যোজাতকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, মৃত্যু
আরও পড়ুন- শীতের মুখে পুরুলিয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নাবালকের
দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্প্রতি একগুচ্ছ পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেই প্যাকেজ ঘোষণার পর এই কয়লা খনি শিল্প তৈরি হওয়া নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে আশার আলো। আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে নানান বিতর্ক। রাজু সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল দেউচা মোড়ের কাছে পৌঁছালে তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয় এবং তাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। যদিও ঘটনাস্থলে গিয়ে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গাড়ি করে দেউচা এলাকায় প্রবেশ করেন রাজু। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে মাটিতে বসে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গু ধরা পড়তেই রাজ্যের হাসপাতালে আত্মঘাতী রোগী, মানতে নারাজ পরিবার, তদন্তে পুলিশ
এই সফর প্রসঙ্গে রাজু বলেন, "আমরা কোনও শিল্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু, গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও শিল্প নিয়ে আসতে পারেননি। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের বিষয় তিনি বলেছিলেন যে বামেরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর এখানে তিনি কী করছেন? কলকাতায় কতগুলো দালালকে ছেড়ে দিয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন না। কোনও ক্ষতিপূরণ ঠিক করা হচ্ছে না। এটা চলতে পারে না। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে হবে। কারণ এখানে জমি দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। এখানে সাধারণ মানুষের কি দাবি রয়েছে তা জানতে হবে। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাঁদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলি আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাব।"