সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পডা়শুনা করে ওই কিশোরী। সেখান থেকেই মুখে গামছা বেঁধে সকলের অগোচরে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক বলে অভিযোগ।
হোলি খেলার (Holi Festival) আসর থেকে কিশোরীকে (Minor Girl) তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার (trying to rape) অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের (Man) বিরুদ্ধে। মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমান্তের কুমেদপুর (Kumedpur) সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাতে (Saturday) ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিশোরীকে অপহরণ করে লাগোয়া একটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু কয়েকজন বাসিন্দা যুবককে জঙ্গলে ঢুকতে দেখে ফেলায় তারা সেখানে হানা দেন। বাসিন্দারাই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন। বাসিন্দাদের দেখে যুবক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাড়া করে তাকে ধরে ফেলার পর শুরু হয় মারধর। পুলিশ গিয়ে যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শিব কুমার মাহাতো। তার বাড়ি বিহারের বেগুসরাইয়ে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করা হয়েছে। যুবক কিশোরীকে অপহরণ করে পাচারের ছক করেছিল কি না তাও পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি কালীমন্দিরে হোলি খেলা চলছিল। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সেখানে হোলি খেলার জন্য হাজির হয় কিশোরীও। স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পডা়শুনা করে ওই কিশোরী। সেখান থেকেই মুখে গামছা বেঁধে সকলের অগোচরে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। ধৃত শিব কুমারের বাড়ি বিহারের বেগুলরাইয়ে। মাঝেমধ্যে সে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় শৌচাগারের ট্যাঙ্ক সাফাই করার কাজ করতে আসে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
শনিবারও ওই এলাকায় শৌচাগার সাফাইয়ের কাজে এসেছিল সে। তারপর আর ফেরেনি। পরে রাতে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লাগোয়া জঙ্গলে কিশোরীকে নিয়ে ঢোকার সময় অন্ধকারে তা দেখে ফেলেন স্থানীয় তিন ব্যক্তি। তারপর তারাই জঙ্গলে হানা দেন। অপহরণ করে ধর্ষণ নাকি কিশোরীকে পাচারের ছক কষা হয়েছিল পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
কিশোরীর বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। এদিন তিনি বলেন, বিহারের ওই যুবক মাঝেমধ্যে এলাকায় কাজ করতে আসে। অনেকেই তাকে চেনে। সে যে এমন করতে পারে ভাবতেই পারছি না। কয়েকজনের জন্য মেয়ে বড়সড় সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।