সংক্ষিপ্ত

  • হুগলির ব্যান্ডেলে নৃশংস কাণ্ড
  • নিজের ঠাকুমাকেই খুন করল যুবক
  • হামলা বাবা-মায়ের উপরেও
  • ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল না, দাবি বাবা-মায়ের

হুগলির ব্যান্ডেলে নিজের ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে নিজে বাবা-মাকেও কোপানোর অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম ইন্দ্রনীল সাহা। পঁচিশ বছরের ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। ঠাকুমা এবং বাবা-মায়ের উপরে হামলা চালানোর পরে বাড়ির ভিতর থেকে ফেসবুক লাইভও করে সে।

এ দিন ভোররাতে আচমকাই ব্যান্ডেলের কেওটার সাহাগঞ্জের বাড়িতে এই হামলা চালায় অভিযুক্ত ইন্দ্রনীল। পিছনের দরজা দিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে নিস্তার পান তাঁর বাবা-মা।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এর পরেই বাড়ির ছাদে উঠে যায় সে। ফলে দমকল বাহিনীকেও ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়। এর পরে পুলিশ যখন তালা ভাঙছিল তখন সেই ছবি ফেসবুক লাইভে পোস্ট করে সে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে সে গালাগালি দিতে শুরু করে। চিৎকার, চেঁচামেচিও করে সে। 

পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইন্দ্রনীলকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধার মৃতদেহ। ধৃত ইন্দ্রনীল শ্রীরামপুর কলেজের প্রাক্তন জিএস। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীও ছিল সে। সে কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটাল তা ভেবে অবাক ইন্দ্রনীলের বাবা-মা এবং এলাকাবাসী। অভিযুক্তের বাবা মায়ের দাবি, রবিবার রাতেও স্বাভাবিকই ছিল ইন্দ্রনীল। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করে সে। এর পরে ভোররাতে আচমকাই সে ঠাকুমার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে আক্রমণ করে নিজের বাবা-মাকেও। 

পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ও ইন্দ্রনীলের মধ্যে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এমন ঘটনা যে সে ঘটিয়েছে, এটাই যেন বুঝতে পারছে না ওই যুবক। ইন্দ্রনীলের বাবা-মায়ের আশঙ্কা, তাকে কেউ কিছু খাইয়ে দেওয়ার ফলে সে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে। ইন্দ্রনীলের মধ্যে কোনওদিন কোনওরকম মানসিক সমস্যা দেখা যায়নি বলেও দাবি তাঁদের। সুস্থ, স্বাভাবিক ইন্দ্রনীল কেন এমন কাণ্ড ঘটাল, সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।