ISRO News -

চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর এবার আদিত্য-এল ১ অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। শনিবার সূর্যের রহস্য উদঘাটনের জন্য উৎক্ষেপণ করা হবে ইসরোর মহাকাশযান। এই অভিযান ঘিরে সারা দেশে উৎসাহ তুঙ্গে।

আদিত্য এল ১ মিশন, ইরসোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের বাজেট প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বলেই সূত্রের খবর। শনিবার লঞ্চের প্রস্তুতি তুঙ্গে।

সারা দেশের মতোই পশ্চিমঙ্গের মানুষও বুধবার বিকেলে চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিকে নজর রেখেছিলেন। ইসরোর অভিযান সফল হতেই দেশজুড়ে আনন্দের ঢেউ।

ইসরোর এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত বাংলার মহাকাশ বিজ্ঞানী সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সারা দেশের মানুষের মতো এই বাঙালি বিজ্ঞানীর পরিবারের লোকজনও অভিযানের দিকে নজর রেখেছিলেন।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান। সারা দেশ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। বাংলার একটি পরিবারে আবেগ-উত্তেজনা একটু বেশি।

গত কয়েক দশকে ভারতের মহাকাশ গবেষণার অনেক উন্নতি হয়েছে। চাঁদ ও মঙ্গল অভিযান করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ফের চন্দ্রাভিযান হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতকে আর মোটেই বামন বলা যায় না।

ইসরো আবিষ্কার করলো এক অত্যাধুনিক হাইব্রিড মোটরের ।বিজ্ঞানীদের ধারণা এই মোটর ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনার আওতায় নয়াদিল্লির লক্ষ্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ কমিয়ে আনা। বর্তমানে, কক্ষপথে এক কিলোগ্রাম পেলোড স্থাপন করতে দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়। ইসরোর নয়া উদ্যোগে সেই খরচ কমে দাঁড়াবে পাঁচ থেকে এক হাজার ডলারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নাসার মহাকাশচারী রাজা চারি, যিনি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাসের মিশনের পরে দেশে ফিরেছেন, ভারতকে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) দীর্ঘ সহযোগিতা করেছে । ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ কাজ করার জন্য তিনি উন্মুখ।

আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট (EOS) 02 উচ্চ রেজোলিউশনের সঙ্গে একটি ইনফ্রা-রেড ব্যান্ডে অপারেটিং আধুনিক অপটিক্যাল রিমোট সেন্সিং দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি মহাকাশযানের মাইক্রো-স্যাটেলাইট সিরিজের অন্তর্গত।