সংক্ষিপ্ত
আদিত্য এল ১ মিশন, ইরসোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের বাজেট প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বলেই সূত্রের খবর। শনিবার লঞ্চের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
রীতিমত সফল ভারতের চন্দ্র অভিযান। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সফলভাবে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। এই সাফল্যের আবহেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সূর্য অভিযানের পথে। আগামী শনিবার লঞ্চ করবে আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করবে Aditya-L1। চন্দ্রযান-৩ এর মতই ইরসো এই মিশনও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। ইসরো ইতিমধ্যেই মিশনটি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরোর সূর্য অভিযানের বাজেটঃ
আদিত্য এল ১ মিশন, ইরসোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের বাজেট প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বলেই সূত্রের খবর। মহাকাশযানের নকশা, উন্নয়ন, উৎক্ষেপণ, মিশনে অপারেশনগুলিকে কভার করা- সব কিছুই জন্যই আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছে। এরই মধ্যে রয়েছে অপারেশনাল খরচ ও লঞ্চ পরবর্তী ক্রিয়াকলাপের খরচ। এই বিনিয়োগ মহাকাশ গবেষণায় ভারতকে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে। বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে ভারতের একটি বড় অবদান রাখবে।
আদিত্য এল১এর ভেইকেল প্রযুক্তিঃ
ইরসোই আদিত্য এল১ মহাকাশ যানটি তৈরি করেছে। এই মহাকাশযানটি সূর্যের করোনা ও পৃথিবাীর জলবায়ুর পাশাপাশি মহাকাশের আবহাওয়া ওপর প্রভাব অধ্যায়ন করবে। মহাকাশযানটি উন্নয় যন্ত্র আর সেন্সার দিয়ে সুসজ্জিত। এটি চরম পরিস্থিতি সহ্য করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এটি সৌর ঘটনাগুলি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আদিত্য মিশন কী?
আদিত্য-L1 মিশনের মূল লক্ষ্যই হল সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য দেবে। সূর্যের করোনা, সৌর নির্গমণ, শিখা, করোনাল, মাস ইজেকশন অধ্যায়নের জন্য বোর্ডে সাতটি পেলোড বা যন্ত্র থাকবে। ২৪ ঘণ্টা ধরে সূর্যের ছবি তোলার ব্যবস্থাও থাকবে।
সূর্য অধ্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ
পৃথিবী ও সৌরজগতের বাইরের এক্সোপ্ল্যানেটগুলি-সহ সহ প্রতিটি গ্রহ বিবর্তিত হয়- এই বিবর্তনটি তার মূল নক্ষত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সৌর আবহাওয়া ও পরিবেশ সমগ্র সিস্টেমের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। এই আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি স্যাটেলাইটের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে বা তাদের কার্যক্ষমতাকে ছোট করে দিতে পারে। জাহাজের ইলেকট্রনিক্সে হস্তক্ষেপ বা ক্ষতি করতে পারে এবং পৃথিবীতে পাওয়ার ব্ল্যাকআউট এবং অন্যান্য ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। সৌর ইভেন্টের জ্ঞান মহাকাশের আবহাওয়া বোঝার চাবিকাঠি।
বিজ্ঞানীদের মূল উদ্দেশ্য হল সৌর ঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। সৌর ঝড় সম্পর্কে কী করে পূর্বাভাস দেওয়া যায় তাও জানতে চান বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর দিকে আসা প্রতিটি ঝড় L1 এর মধ্যে দিয়ে যায়, সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের L1 এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপিত একটি উপগ্রহর তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখতে চান মহাকাশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কমাতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা।