রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ২০০-র গন্ডি। যার বেশিরভাগ-ই কলকাতায়। আগামী কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণের এই গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশে ৭৬০ জন নতুন লোকের সংক্রমণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। JN.1 রূপটি এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় ১১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, মোট সংক্রামিত লোকের সংখ্যা ৫১১-এ পৌঁছেছে।
২৭ ডিসেম্বরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তিনশো বেড-এর একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, মেলায় কোভিড পরীক্ষা করানোর বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
দেশে কোভিড আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে ভয়ের হল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এখন রোগ মুক্ত থাকতে প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারও তৎপর হয়ে উঠেছে। এর পরে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আবার বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ২ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে কোভিডের মোট সংখ্যা বেড়ে ৩২ হাজার ৩৫ হয়েছে, যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে কাশি, সর্দি ও নিউমোনিয়ার মতো রোগও দ্রুত বাড়তে থাকে। এসব এড়াতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারের ওপর। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ৪,৪৩৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। গত ১৬৩ দিনের পরিসংখ্যানে এটি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে সক্রিয় মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১ জন। অ্যাক্টিভ কেস মানে রোগী যারা এখনও চিকিৎসাধীন।
সমস্ত ছাত্রী ও কর্মীদের ক্যাম্পাসে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ওষুধের কিট দেওয়া হয়েছে। দুই ছাত্রী ছাড়া বাকি সবার অবস্থা ভালো।