সংক্ষিপ্ত

নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারের ওপর। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে।

 

করোনাভাইরাসের ছায়া ক্রমশই বাড়ছে দেশে। বৃহস্পতিবারে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩৫। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বরের পরে এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারের কোটা ছুঁলো বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১৯৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমানে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৫৮৭।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩৮৩। সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯১৬। যারমধ্যে যারমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দৈনিক ইতিবাচকতার হার ৩.৩২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে সাপ্তাহিক ইতিবাচকরতার হার ২.৮৯ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মোট আক্রান্তের সংখ্যা ০.০৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৯৮.৭৫ শতাংশ। দেশে মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৪.৪১.৮২.৫৩৮। যেখানে মৃত্যুর হার মাত্র ১.১৯। দেশে টিকাদান করা হয়েছে ২২০.৬৬ কোটি ডোজ।

সম্প্রতি নতুন করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। যা নিয়ে স্বস্থ্য কর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ কিছুটা হলেও বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি যারা এখনও করোনাভাইরাসের টিকা নেয়নি তাদের আবার টিকা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের মানুষকে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের একাধিক বংশধরের সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন মহামারির সেই ভয়ঙ্কর সময় আর নাও ফিরতে পারে। তবে সংক্রমণ রুখতে সাধারণ মানুষকে সাবধানে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা আর টিকাকরণের হার বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের নাগরিকদের ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নতুন করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক দিন আগেও জানিয়েছিল সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা জরুরি। তাাই আবারও মাস্ক পরার আবেদনা জানিয়েছিল দেশের সাধারণ মানষের কাছে।

সম্প্রতি আমেরিকা ও চিনে কিছুটা হলেও বেড়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি।