সংক্ষিপ্ত
- লাদাখে বিনা প্ররোচনায় হামলা চিনের
- চার দশক পর ফের রক্ত ঝরল সীমান্তে
- শহিদ হলেন কমপক্ষে ২০ জন জওয়ান
- প্রাণ গেল আলিপুরদুয়ারের যুবকেরও
উত্তমা চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি: ভাঙাচোরা বাড়িটা আর পাকা করা হল না! লাদাখে চিনা বাহিনীর হামলায় শহিদ হলেন বাংলার আরও এক জওয়ান। গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণ হারালেন ভারতীয় সেনার কনস্টেবল বিপুল রায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে আলিপুরদুয়ারে।
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তার আগেই লাদাখে শহিদ হলেন বাংলার ছেলে রাজেশ
সেনাবাহিনীর ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন বিপুল রায়। স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়ে নিয়ে থাকতেন দিল্লিতে, সেনা আবাসনে। কবে ফিরবেন তিনি! আলিপুরদুয়ারের টটপাড়ার বিন্দি গ্রামে ভাঙাচোরা ঘরে অপেক্ষায় থাকতেন বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই। জানা গিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে শেষবার বাড়িতে এসেছিলেন শহিদ জওয়ান। পৈতৃক বাড়িটি পাকা করার কথা বলেছিলেন বিপুল। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ফের ফিরে যান কর্মস্থল, লাদাখে। গত কয়েক দিনে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছিল ক্রমশই, চিন্তায় ছিলেন বাড়ির লোকেরা। মঙ্গলবার রাতে ছেলের মৃত্যু সংবাদ আসে বাড়িতে। কান্না ভেঙে পড়েন সকলেই।
আরও পড়ুন: প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ, অর্ধেক দামে ট্রিপল লেয়ার মাস্ক বিকোচ্ছেন ভক্ত
বুধবার সকালে শহিদ বিপুল রায়ের বাড়িতে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। তবে বাঙালি জওয়ানে দেহ কবে বাড়িতে আনা হবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বীরভূমের বাসিন্দার মহম্মদবাজারের বাসিন্দা রাজেশ ওঁরাও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বছর পাঁচেক আগে। লাদাখে চিনার হামলার শহিদ হয়েছেন তিনিও।