Chanakya Niti: মায়ের গর্ভে জন্মের আগে প্রত্যেক শিশুর ভাগ্যে এই ৫টি জিনিস লেখা থাকে

যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনে আচার্য চাণক্যের বাণী অনুসরণ করেন, তবে তিনি জীবনে কখনও ভুল করবেন না এবং সফল অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন। আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসারে, শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন তার ভাগ্য নির্ধারিত হয়। 

আচার্য চাণক্য শুধু একজন মহান পণ্ডিতই ছিলেন না, তিনি একজন ভালো শিক্ষকও ছিলেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সেখানে আচার্য পদে ছাত্রদের পথপ্রদর্শন করেন। তিনি একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ, কৌশলবিদ এবং অর্থনীতিবিদও ছিলেন। আচার্য চাণক্য তার জীবনে অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কিন্তু কখনো হাল ছেড়ে দেননি এবং তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি।

যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনে আচার্য চাণক্যের বাণী অনুসরণ করেন, তবে তিনি জীবনে কখনও ভুল করবেন না এবং সফল অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন। আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসারে, শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন তার ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আচার্য চাণক্য তার নীতি গ্রন্থে এ কথা উল্লেখ করেছেন। চাণক্যের মতে, জন্মের আগে প্রত্যেক শিশুর ভাগ্যে ৫টি জিনিস লেখা থাকে, যা কেউ চাইলেও পরিবর্তন করতে পারে না। এই শ্লোকের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি জিনিস কি কি যা গর্ভে থাকা শিশুর ভাগ্যের সাথে জড়িত।

বয়সঃ কর্ম গ অর্থসিদ্ধি গ বিদ্যা নিম্মণেব গ.
পঞ্চৈতানি হি সৃজ্যন্তে গর্ভস্থস্যেব দেহিনঃ।

এই শ্লোকের অর্থ- সমস্ত অবতার প্রাণীর বয়স, তারা যে কর্ম সম্পাদন করে, সম্পদ, বিদ্যা এবং মৃত্যুর সময় তাদের গর্ভাবস্থাতেই পূর্ব নির্ধারিত হয়।

বয়স
আচার্য চাণক্যের নীতিশাস্ত্রের এই শ্লোক অনুসারে যে কোনও শিশুর বয়স মাতৃগর্ভেই নির্ধারিত হয়। শিশুটি স্বল্পস্থায়ী হবে না দীর্ঘজীবী হবে, সে এই পৃথিবীতে আসতে পারবে কি না, সবই মায়ের গর্ভে নির্ধারিত হয়ে যায়।

নিয়তি
আচার্য চাণক্যের মতে, প্রত্যেক মানুষকে তার কর্ম অনুসারে সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয়। এই কর্মফল শুধুমাত্র বর্তমান থেকে নয়, অতীত জন্ম থেকেও নির্ধারিত হয়। লক্ষ লক্ষ চেষ্টার পরে, আপনার ভাল-মন্দ আপনার কর্মের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।

অর্থ এবং জ্ঞান
আচার্য চাণক্যের এই শ্লোক অনুসারে মায়ের গর্ভে সন্তানের ভাগ্যে টাকা আছে কি নেই তা নির্ধারণ করা হয়। সন্তান কতদূর লেখাপড়া করবে, জ্ঞান অর্জন করলে জীবনে কতটা সদ্ব্যবহার করতে পারবে, এই সবই মাতৃগর্ভেই নির্ধারিত হয়।

মৃত্যু
আচার্য চাণক্যের মতে, একজন ব্যক্তির জীবনে মৃত্যুর যোগফল প্রায় ১০১ বার গঠিত হয়, যার মধ্যে একটি সময় মৃত্যু এবং বাকি সময় অকাল মৃত্যু। এই অকাল মৃত্যু কর্ম এবং ভোগ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে